কারাবাসের_দিনগুলি: ইসলামের জন্য জেল-জুলুম ও নির্যাতনের ইতিহাস নতুন কিছু নয়। ইতিহাসের পরতে পরতে দেখা মিলবে এর অজস্র উদাহরণ। আল্লাহকে রব স্বীকার করার কারণে, নববী যুগ থেকেই; মুসলমানরা সহ্য করে আসছে যাতনা ও নির্যাতন। তাদেরকে পড়তে হয়েছে দুর্বিপাকে। এবং প্রচণ্ড কষ্টের মুখে জীবনও চলে গিয়েছিল কারো কারো। ইয়াসির-পরিবারের কথা কি ইতিহাস ভুলে গেছে! ইতিহাস কি ভুলে গেছে বেলাল হাবশির সেই আহাদ আহাদ নিনাদ! না, ইতিহাস তা ভোলেনি। আর জালেমরাও বিরত হয়নি তাদের নির্যাতন ও জুলুম থেকে। বিংশ শতাব্দীতে মিশরের আকাশেও দেখা দিয়েছিল জালেমদের, যাদের শত্রুতা শুরু হয়েছিল স্বয়ং ইসলামের সঙ্গেই, শরিয়তের ধারকদের যারা শত্রু ঠাওরে নিয়েছিল। এবং মুসলমান মাত্রকেই যারা শুরু করে দিয়েছিল জেলে পুরতে। মিসরের জেলগুলো সব ভরে উঠেছিল কালিমা-পড়া মুসলমানদের দ্বারা। আর জেলগুলো পরিণত হয়েছিল শয়তানের নরকে। সেখানে শয়তানের চ্যালারা মুসলমানদের উপর দিয়ে চালিয়েছিল নির্মম-নৃশংস ও ভয়াবহ নির্যাতন। কেমন ছিলো সেই নির্যাতন? কেমন করে তারা ঝাঁঝরা করে দিত মুসলমানদের পিঠ? আরও কত কত রকমের নির্যাতন তারা চালাত মুসলমানদের উপর? তারই এক গা-শিউরে ওঠা স্মৃতিকথা লিখেছেন শয়তানের কারাগারের এক বন্দিনী—জায়নাব আল-গাজালি। সেই স্মৃতিকথারই বাংলা রূপ “কারাবাসের দিনগুলি”।
জায়নাব আল গাজালি (২ জানুয়ারি ১৯১৭ – ৩ আগস্ট ২০০৫) ছিলের একজন মিশরীয় রাজনীতিক ও নারী অধিকার কর্মী। তার পিতা ছিলেন আল-আজাহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা শিক্ষিত তুলা ব্যবসায়ী। তিনি ইসলাম এবং কু'রানের ব্যবহারিক জ্ঞানের মাধ্যমে "অভ্যাসশিক্ষার ধারণায়" বিশ্বাস করতেন এবং অনুভব করতেন যে ইসলামের আরো ঘনিষ্ঠ উপলব্ধির মাধ্যমে নারী মুক্তি, অর্থনৈতিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার ইত্যাদি অর্জন করা যেতে পারে।