কোয়ান্টাম মেথড— নামটার সাথে হয়ত আমরা অনেকেই পরিচিত। কিন্তু এই মেথডের হাল-হাকিকত কী, এই প্রশ্ন করলে সদুত্তর খুব কমই মিলবে। যারা এই মেথডে দীক্ষা নিয়েছেন, তাদেরই বা কত জন জানেন মেথডের ভেতরকার কথা। আর যারা শুধু নামই শুনে আসছেন, তাদের কথা তো বাদই দিলাম। আমার আশপাশে এমন কাউকেই আমি দেখি না, যাদের কাছে এই মেথড সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে “তৃপ্তিদায়ক” উত্তর পাওয়া যাবে। এই উদাসিনতার কারণ হতে পারে অনেক। হয়ত আমাদের ভেতরে এমন প্রয়োজনবোধই(!) তৈরী হয় নি, যার ফলে এই মেথড সম্পর্কে তলিয়ে দেখার তাগিদ অনুভব করবো। অথবা আমাদের আগ্রহ তৈরী হলেও হাতের কাছে জানবার মতো নির্ভরযোগ্য কোন মাধ্যমই নেই। কিংবা তলিয়ে দেখার আগেই হয়ত আমরাই তলিয়ে গেছি এই মেথডের চোরাবালিতে। মূলত মানুষের মধ্যে প্রথা ভাঙার একটা সুপ্ত ইচ্ছা লুকায়িত থাকে। একটু ভিন্ন হতে সকলেই চায়। নিজ নিজ অবস্থান ও সামর্থ অনুযায়ী সকলেই ভিন্ন রূপ ধারণ করে। . মানুষের এই ইচ্ছাকে পুঁজি করেই যুগে যুগে বাতিলদের মহড়া দেখা গেছে। ইসলামকে মডিফাই করে, একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে; নতুন ইসলাম হাজির করার চেষ্টা যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। কোন কোন বাতিলপন্থী সব ধর্মের সাথে ইসলামকে মিশিয়ে একটা জগাখিচুরি তৈরী করেছে। আর উৎসুক লোকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে তার উপর। . যুগে যুগে নতুন নামে ও ভিন্ন ঢঙয়ে বাতিল প্রকাশ পেলেও আদতে তা ছিলো এক ও অভিন্ন। . কোয়ান্টাম মেথডও অনুরূপ একটা নতুন ধারা—যা তাওহীদ ও শিরকের জগাখিচুরি তৈরী করেছে। . যদি বলা হয়, কোয়ান্টাম মেথড ইসলামের সাথে সাংঘর্ষি; তবে কেউ কেউ তেড়ে আসবেন। তারা বলবেন: কোয়ান্টাম মেথড কি কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান! যদি না হয়, তাহলে এর সাথে ধর্মের মিল-অমিল খোঁজার কী দরকার? সব কিছুতেই ধর্ম না খুঁজলে হয় না? . কথা সত্য যে, কোয়ান্টাম মেথড কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়। কিন্তু আরও বড় সত্য হলো, ধর্ম নিয়ে কোয়ান্টাম মেথডের একটা বড় কার্যক্রম চলে। . মুসলমানদের অনেকেই অন্ধভাবে এই মেথডের সাথে জড়াচ্ছেন। এবং হারাচ্ছেন তাদের ঈমান।