গিরিবালা দেবীর জন্ম ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জেলায়। পিতা পণ্ডিত দীননাথ শাস্ত্রী, মাতা হেমাঙ্গিনী দেবী। কোনােদিন স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করেননি। প্রথমে পিতার কাছে শিক্ষার সূচনা, পরে শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর উৎসাহে ও প্রেরণায় সাহিত্যে ও দেশপ্রেমের দীক্ষা। পাবনা জেলার হাটুরিয়া গ্রামের জমিদার উমেশচন্দ্র রায়ের জ্যেষ্ঠপুত্র পূর্ণচন্দ্র রায়ের সঙ্গে তাঁর বারাে বছর বয়সে বিবাহ হয়। অভিজাত যৌথপরিবারে বালিকাবধূ থেকে ব্যক্তি হয়ে ওঠার কাহিনি হলাে ‘রায়বাড়ি'। কাহিনির পটভূমি বঙ্গভঙ্গ আত্মজৈবনিক এই উপন্যাসটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার দিনগুলােরও পরিচয় পাওয়া যাবে। গিরিবালা দেবী রায়বাড়ি’-র দ্বিতীয় খণ্ডের প্রকাশের গােড়ায় নিজেই প্রথম খণ্ডের চুম্বক দিয়েছিলেন। তা থেকে অংশবিশেষ উদ্ধৃত হলাে : ‘প্রায় সত্তর বৎসর পূর্বের অবিভক্ত বাংলাদেশে পাবনার হরিণহাটি গ্রামের এক বালিকাবধূ বনেদি জমিদার পরিবারে পদার্পণ করে। তাহার বিস্ময়, তাহার বিকাশােনুখ চিত্তের নিত্য নূতন ভাবসম্পাত সারা বৎসরের পাল-পার্বণ ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় আবর্তিত হইয়া রায়বাড়ির দুই খণ্ডে বিচিত্রিত। বিশদ গ্রন্থপরিচয় ছাড়া এতে সংযােজিত হয়েছে লেখিকা-কন্যা বাণী রায়ের স্মৃতি-সঞ্চয়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে গিরিবালা দেবীর মৃত্য হয়।