মানুষ যখন জীবনের কাছে ফিরে; তখন তার নিজের অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখে না। দেখতে পারে না। কবিতা এমন একটি শক্তি- যা মানুষের এই দেখার আলোকে শাণিত করে। উজ্জ্ব¡ল আলোর কিছু ¯্রােতকে বুকে ধারণ করেই কবিতা লিখেন, কবি মোখলেসুর রহমান। এই কবির কবিতা, মাটির নিভৃত স্থিরচিত্রকে লালন করে মানুষের বুকের গহিনে দ্যোতনা তুলে। তিনি যখন উচ্চারণ করেন- ‘যে জন আমিকে পোড়াতে পারে আকাশের আলোয়/সেইতো পেয়ে যায় জীবনের শুদ্ধতা’- তখন আমরা তাঁর দিকে না তাকিয়ে পারি না। কবির এই কাব্যগ্রন্থ- ‘বোধসূত্রের বিভা’য় তিনি আত্মার সন্ধান যেমন করেছেন, তেমনি আধ্যাত্মিকতার পরম প্রশান্তিকে ধারণ করেছেন বিশ্বস্ততার সাথে। তিনি লিখেন- ‘সংর¶ণ করো তোমাকে, সংর¶ণ করো আমাকে সংর¶ণেই আরাধ্য জীবন। আরাধ্য বাঙময় ভাষা। / আরাধ্য ভাষায় লিখা হয় রূপান্তরের জীবন পাঠ, বোধসূত্রের বিভা। রূপান্তরের জন্ম ঢেউয়ে রস দেয়/ রূপ দেয়, আলো দেয় চন্দ্র-সূর্য-আলো-বাতাস-মৃত্তিকা।’ এই কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতা বিভিন্ন ক্যানভাসে লেখা। যে ক্যানভাসের আয়নায় পাঠক-পাঠিকা খুঁজে পাবেন নিজেদের মুখ। মেঘের ভ্রমণ আর আকাশের বিশালতা নিয়ে কবিতার ব্যাপৃতি কবি মোখলেসুর রহমানকে নতুন পরিচয়েই পরিচিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি তাঁর কবিতার কুশল কামনা করছি। কবিতার সাথে থাকুন। জয় হোক পরিশুদ্ধ কবিতার। ফকির ইলিয়াস