ইউরােপীয় আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদিতা মুসলমানদের প্রথম যুগের ইতিহাস বড়ই গৌরবােজ্জ্বল ইতিহাস। তারা তখন পূর্ব এশিয়া থেকে পশ্চিম আফ্রিকা পর্যন্ত এবং ইউরােপের পশ্চিম এলাকা স্পেন পর্যন্ত নিজেদের শৌর্যবীর্যে পদানত করেছিল। শুধু তাই নয় বরং জ্ঞান-বিজ্ঞান, সভ্যতা-সংস্কৃতি ও চারিত্রিক উৎকর্ষতায় চরম সফলতা অর্জন করেছে। তৈরী করেছে জ্ঞান ও সভ্যতার মাপকাঠি, যা সেকাল এবং পরবর্তীকালের জন্য আলাের ফোয়ারা হয়ে আছে। অথচ সে সময় ইউরােপের জাতিগুলাে শিক্ষা-সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে অন্ধকারের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত ছিল। তারা মুসলমানদের জ্ঞানচর্চা ও উন্নতি দেখেছে। এর কয়েক শতাব্দী পরে তারা সে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সিক্ত হতে শুরু করে এবং ক্রমশঃ। উন্নতির পথে অগ্রসর হতে থাকে। মুসলিম জাতি শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং মানবীয় উত্তম গুণাবলির সাথে শতাব্দীর পর শতাব্দী জ্ঞানের উৎকর্ষতা, রাজত্ব ও নেতৃত্বে ছিল উজ্জল ভাস্কর। জগদ্বাসীর মাঝে তারাই ছিল নেতৃত্ব ও শিক্ষকের ভূমিকায়। স্পেনের ইসলামী ভূখণ্ড উন্দুলুস তাে ইউরােপের সন্নিকটেই ছিল। এ উন্দুলুস ইউরােপ জাতির জন্য অনুসৃত আদর্শ হয়ে গিয়েছিল। যে ইউরােপ এতকাল পর্যন্ত খৃস্টবাদের প্রচার-প্রসারে ছিল একনিষ্ঠ, যাদের মাঝে সভ্যতা-সংস্কৃতি ও শিক্ষা ছিল না বললেই চলে। অবশেষে সে ইউরােপ ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বৈশিষ্ট্যার্জনে ঝুঁকে পড়ে। যথারীতি উলুসের বিদ্যাপীঠ থেকে উপকৃত হতে থাকে। এভাবে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভেতর ক্রমান্বয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আগ্রহ-উদ্দীপনা বাড়তে থাকে। ফলশ্রুতিতে তারা শিক্ষা-সংস্কৃতিতে স্বকীয়তার অধিকারী হয়ে উঠে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলােতে প্রায় সাতশ বছর উন্নতির উচ্চ শিখরে থাকার পর অধঃপতনের ধারা শুরু হয় । সুতরাং একদিকে ইউরােপে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সভ্যতায় আগ্রহ-উদ্দীপনা বাড়তে থাকে, অপরদিকে মুসলিম দেশগুলাে হেঁয়ালীপনা, উদাসীনতা ও | গাফলতের চাদরে আবৃত হয়ে যায়। এভাবে দুই সাম্রাজ্যে প্রায় দু’শত বছরের উত্থান-পতনের ধারা চলতে থাকে। ফলে (১৫-১৬ শতক পর্যন্ত) | ইউরােপীয় আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদিতা মুসলমানদের প্রথম যুগের ইতিহাস বড়ই গৌরবােজ্জ্বল ইতিহাস। তারা তখন পূর্ব এশিয়া থেকে পশ্চিম আফ্রিকা পর্যন্ত এবং ইউরােপের পশ্চিম এলাকা স্পেন পর্যন্ত নিজেদের শৌর্যবীর্যে পদানত করেছিল। শুধু তাই নয় বরং জ্ঞান-বিজ্ঞান, সভ্যতা-সংস্কৃতি ও চারিত্রিক উৎকর্ষতায় চরম সফলতা অর্জন করেছে। তৈরী করেছে জ্ঞান ও সভ্যতার মাপকাঠি, যা সেকাল এবং পরবর্তীকালের জন্য আলাের ফোয়ারা হয়ে আছে। অথচ সে সময় ইউরােপের জাতিগুলাে শিক্ষা-সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে অন্ধকারের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত ছিল। তারা মুসলমানদের জ্ঞানচর্চা ও উন্নতি দেখেছে। এর কয়েক শতাব্দী পরে তারা সে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সিক্ত হতে শুরু করে এবং ক্রমশঃ। উন্নতির পথে অগ্রসর হতে থাকে। মুসলিম জাতি শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং মানবীয় উত্তম গুণাবলির সাথে শতাব্দীর পর শতাব্দী জ্ঞানের উৎকর্ষতা, রাজত্ব ও নেতৃত্বে ছিল উজ্জল ভাস্কর। জগদ্বাসীর মাঝে তারাই ছিল নেতৃত্ব ও শিক্ষকের ভূমিকায়। স্পেনের ইসলামী ভূখণ্ড উন্দুলুস তাে ইউরােপের সন্নিকটেই ছিল। এ উন্দুলুস ইউরােপ জাতির জন্য অনুসৃত আদর্শ হয়ে গিয়েছিল। যে ইউরােপ এতকাল পর্যন্ত খৃস্টবাদের প্রচার-প্রসারে ছিল একনিষ্ঠ, যাদের মাঝে সভ্যতা-সংস্কৃতি ও শিক্ষা ছিল না বললেই চলে। অবশেষে সে ইউরােপ ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বৈশিষ্ট্যার্জনে ঝুঁকে পড়ে। যথারীতি উলুসের বিদ্যাপীঠ থেকে উপকৃত হতে থাকে। এভাবে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভেতর ক্রমান্বয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আগ্রহ-উদ্দীপনা বাড়তে থাকে। ফলশ্রুতিতে তারা শিক্ষা-সংস্কৃতিতে স্বকীয়তার অধিকারী হয়ে উঠে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলােতে প্রায় সাতশ বছর উন্নতির উচ্চ শিখরে থাকার পর অধঃপতনের ধারা শুরু হয় । সুতরাং একদিকে ইউরােপে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সভ্যতায় আগ্রহ-উদ্দীপনা বাড়তে থাকে, অপরদিকে মুসলিম দেশগুলাে হেঁয়ালীপনা, উদাসীনতা ও | গাফলতের চাদরে আবৃত হয়ে যায়। এভাবে দুই সাম্রাজ্যে প্রায় দু’শত বছরের উত্থান-পতনের ধারা চলতে থাকে। ফলে (১৫-১৬ শতক পর্যন্ত) |