অভিশঙ্কার জন্ম শঙ্কা থেকে। আর শঙ্কা? তার জন্ম মনের ভেতরে বাস করা ভয় থেকে। ভয় সহজে মনের ভেতর বাসা বাঁধে না। বাঁধে তখন, যখন প্রতিমুহূর্ত একজন মানুষ ভয়ের মধ্যে থাকে। কেউ কেউ এই ভয় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বেছে নেয় উদ্ভট কল্পনাকে। যে কল্পনার আদলে গড়ে তোলে নতুন কোনো সাহসী সঙ্গী। একে মানসিক ব্যাধি বললেও ভুল হবে না। ‘অভিশঙ্কা’ বইটিও তেমনই এক শঙ্কার পেছনকার গল্প নিয়ে। যে শঙ্কার আদলে গল্পের ছোট্টো ছেলেটা তার নিজের মাকে খুন করে। নাহ্, সে খুন করে পালিয়ে যায়নি। সে সেখানেই বসে ছিল। কারো অপেক্ষা সে করছিল না। কারণ, সে স্বাভাবিক আলো সহ্য করতে পারে না। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে ছেলেটাকে। পরবর্তীতে ছেলেটা দোষী সাবস্ত হলেও সবাই বুঝতে পারে ছেলেটা মানসিক ভারসাম্যহীন! ছেলেটার বাবা হঠাৎ করে আড়াল থেকে সামনে আসে। কারণ ছেলেটা বা কেউ জানত না যে, ছেলেটার বাবা কোথায় আছে বা আদৌ আছে কি না। এসেই ছেলেটার বাবা এক সাইকোলজিস্টের শরণাপন্ন হন এবং নিজের ছেলেকে সুস্থ করার অনুরোধ করে যান। তারপর থেকে আবারও তিনি নিখোঁজ! ছেলেটাকে সুস্থ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে একের পর এক হাড় হিম করা শঙ্কার গল্প। সে শঙ্কা বারবার জোর গলায় বলে চলেছে, “নিজের মাকে খুন কর।’ কী সেই শঙ্কা? আর সত্যিই কি ছেলেটা তার মাকে খুন করেছে? তাছাড়া ছেলেটার বাবাই-বা পালিয়ে ঘুরছে কেন?
তুষার আব্দুল্লাহ রিজভী'র জন্ম ২০০০ সালের ১৮ জুন । পৈত্রিক নিবাস বরিশাল হলেও বেড়ে ওটা গাজীপুরে। পিতা-মাতা আর ছোটো এক ভাই নিয়ে তার জীবন। স্থানীয় একটা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে লেখালেখিতে মনোযোগী হয়েছেন। লেখালেখির যাত্রা অনেক দিনের। দীর্ঘসময় ধরে অনলাইনে লেখালেখি করেন। ২০২০ সালে তার বই “নাইন টু ফাইভ” প্রকাশিত হয়। যার মাধ্যমে বইয়ের দুনিয়াতে নিজেকে নিয়ে গেলেন।