ফ্ল্যাপ আইশ্যাডো বক্স" নামটার মাঝেই একটা নতুনত্ব আছে৷ আপাতদৃষ্টিতে সাজসজ্জার একটা গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো আইশ্যাডো বক্স। তবে ভালোভাবে খেয়াল করলে অনুধাবন করা যায় সৌন্দর্য চর্চার জন্য আকর্ষণীয় এই বাক্সে লুকিয়ে রাখা কিছু জাদুকরী রঙ। যার পরিশীলিত ব্যবহারে নারী পেয়ে যায় একটা অনন্য পরিচয়৷ তেমনি কিছু রহস্য রঙে মোড়া জাদুর গল্প হলো আইশ্যাডো বক্স। চোখ সজ্জার প্রাচীন এই প্রসাধনী উত্তর ভারতের সংরক্ষিত রাজকুঠুরি থেকে ঘটনাক্রমে এসে পড়ে এই বাংলাদেশের এক কলেজ পড়ুয়া তরুণীর হাতে৷ বলা হয় আঁধারের আরেক রূপ ছলনা বা মোহ। অসম্ভব আকর্ষণীয় বাক্সের নজরকাড়া রঙগুলোর মোহতে পেয়ে বসে তাকে। এর স্পর্শে মেয়েটি নতুন করে আবিষ্কার করতে থাকে নিজেকে। সেই সাথে নতুন মনিবের সান্নিধ্য পেয়ে জাগ্রত হতে থাকে আইশ্যাডোর প্রতিটি রঙ৷ এর মাঝে লুকিয়ে থাকা বুকচিরে দেয়া আর্তনাদগুলো যেন দিনে দিনে শক্তিশালী হতে থাকে৷ আলোকিত সত্তাকে আড়াল করে প্রকট হতে থাকে অন্ধকার সত্তা। যে আঁধার ক্রমে গ্রাস করতে থাকে গোটা মানুষটাকে৷ একের পর এক নির্মম খুন হতে থাকে অতি সাধারণ শান্ত ছিমছাম মহিলা হোস্টেলটায়। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। কেন হচ্ছে এত খুন? কী রহস্য এই আইশ্যাডো বক্সের? এর সংস্পর্শে কেন মানুষ বদলে যায়? কে ঠেকাবে এই রক্তক্ষয়ী প্রলয়? রূপকথার রাজা-রানীর গল্পের সাথে বর্তমান কালের এডভেঞ্চারের সমন্বয়ে একটা চমৎকার রুদ্ধশ্বাস গল্প হলো আইশ্যাডো বক্স৷ যা পাঠককে উত্তেজনার রোলার কোস্টারে চড়িয়ে নিয়ে যাবে একটা জাদুর সফরে৷ পরিচয় ঘটবে কিছু চিরচেনা সাধারণ চরিত্র, কিছু রূপকথার চরিত্র, কিছু স্বপ্নের চরিত্রের সাথে৷ পাঠক পরিচিত হবেন মানুষের আলো আর আধারিত দুই সত্তার সাথে৷ একই গল্পে আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে অনুভব হবে হরর, সাসপেন্স, থ্রিলার, রোমান্সের মতো জনরার স্বাদ৷ গল্পের ঘোর যখন কাটবে মনের মাঝে জন্ম নেবে আরও কিছু জানার তৃষ্ণা। ভালোর সাথে মন্দ থাকে, আলো এলেও কালো বিদায় নেয় না। যা শেষ হয়েও যেন শেষ হয় না৷ লুকোচুরি খেলতে থাকে অনন্তকাল ধরে। আইশ্যাডো বক্স সেই আখ্যানের কথা বলে।