মুখবন্ধ সাহিত্যে উঠে আসে মানুষের জীবনের, সমাজের তথা পারিপার্শ্বিকতার মানচিত্র। তা সে কবিতাই হোক বা অন্য কোনো সাহিত্য মূল্যবোধের লেখা হোক। একজন কবি বা লেখক সমাজের চারপাশের পরিবেশ প্রকৃতি, অসংগতি, প্রেমবিরহ এবং মানুষের নিত্যকার দোটানা জীবনের ছবি নিজস্ব রঙে-ঢঙে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। আমার সরাসরি ছাত্র ডা. এ. কে. এম. নজরুল ইসলাম বিজ্ঞানের ছাত্র। বয়স্ক তরুণ এ কবি তার চাকরি থেকে অবসরোত্তর জীবনে বছর দু'য়েক হলো কবিতার বিচিত্র ভুবনে পা রেখেছে। তার লেখা কবিতা আমাদের প্রায় আঠারো হাজারের বেশি একটি সামাজিক গ্রুপে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। তার নিজস্ব নানা বলয়েও কবিতাগুলো প্রায়শ দেখা যাচ্ছে। সেখানে পাঠকের প্রতিক্রিয়া বেশ সন্তোষের এবং আশা জাগানিয়া। লক্ষণীয় যে, কবির কবিতার ধারাবাহিক উন্নতি ঘটছে। তার কবিতার প্রধান কাব্যভাষা বাংলাদেশের শ্যামল হরিৎ প্রকৃতি এবং নিসর্গ বর্ণনা হলেও প্রামীণ জীবনাচারের অভিজ্ঞাতও বেশ সুনিপুণভাবে উঠে আসছে। আমি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ “ভাবনার উন্মেষ” এর অধিকাংশ কবিতাই পড়েছি। সমাজ সচেতনতা, দেশাত্মবোধ এবং সৃজনশীলতার স্বাক্ষর দেখেছি তার প্রতিটি কবিতায় । তার প্রচেষ্টা পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করুক, বাংলা কাব্যজগতে তার এক টুকরো পরম্পরা তৈরি হোক, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। কবির প্রতি রইল আমার দোয়া ও অশেষ কাব্যশুভেচ্ছা। (ড. রানা চৌধুরী) সাবেক অধ্যাপক (পদার্থবিজ্ঞান) সরকারি কলেজ।