যত দূরে যাই মন পড়ে থাকে অঁাকাবাঁকা তিতাসের তীরে যত কাছে যাই নিজেকে খুঁজে পাই বুড়িনদীর পাড়ে। এখানে কেটেছে আমার দুরন্ত মধুময় শৈশব অদের খালে এক পায়ে বসে থাকে কানাবক। মাছরাঙা ধরে মাছ, ঘোলাজলে ডুব দেয় পানকেদ্বড়ি এখানে জনে¤ছি আমি, গড়েছি শান্তিনিবাস ঘর বাড়ি। এখানে জনে¤ছে ঈসাখান, মনমোহন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন কত নাম; মাহমুদ শাহ, গেছুদারাজ, শায়খুল বাঙাল, পীর খালেক ঘুমিয়ে অবিরাম। সুপ্রাচীন কাল থেকে অসা§ú্রদায়িক স§ú্রীতির তীর্থ ভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াজেলা উপমহাদেশের এক অনন্য সাংস্কৃতিক রাজধানী। সেদিনের শান্তির জনপদে কেন অগ্নুৎপাত ঘৃণার বৃষ্টি ঝরে, তবে কি ক্ষুদিরাম, উল্লাস কর দত্তের চেতনা গিয়েছে মোদের মরে? আমার জেলার গ্যাস বিদ্যুতে প্রগতির যান তুফান বেগে চলে নেদ্ব বন্দর, ব্যস্ততম স্থলবন্দরের বৈদেশিক অর্জন সেই কথাই বলে। বাউনবাইরার মানুষের আতিথেয়তার নেই কোন জুড়ি দেখতে হলে বন্ধুসময় করে একদিন এসো আমার বাড়ি। তবে কখনো সংঘর্ষের জনপদ হিসাবে হচ্ছে শিরোনাম পান থেকে চুনখসা নিয়ে ঘটে তর্কবিতর্ক—কুরুক্ষেত্র! লজ্জায় মুখ ঢাকি, ক্ষয়ে—ক্ষয়ে যায় জ্ঞানী গুণিদের দাম। স্বচ্ছ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যখন নিজেকে বলি কী প্রয়োজন? ভেতরের আমি বলে উঠে ঘটাতে মানসিক ও মানবিক উন্নয়ন। বিশ্বসংগীতের পাদপীঠে কেন বাজেনা ভৈরবী মিলনের বাঁশি? কেন ফোটে না ঘাঘুটিয়া পন্সবিলের মত শিষ্টাচার, সততার ফুল অহর্নিশি! কারণ, আলাউদ্দিন রাগ, মলয়া কেউ শুনে না; দেখে না বিপিন পালের পুতুল নৃত্য শৈলী পড়ে না অদ্বৈত, আব্দুল কাদির, কবির চেদ্বধুরী, আল মাহমুদ রচনাবলী। আবদুর রসুল, ধীরেন্দ্রনাথ, কুদ্দুস মাখন, সিরাজুল হকের রাজনৈতিক মতাদর্শ জানতে চায় না তরুণ প্রজনন নিজের মাঝে খেঁাজে না সেই আদর্শ।