অপেক্ষা জগতের সবচেয়ে কঠিন এবং অধৈর্য্যশীল শব্দ। অথচ এই অপেক্ষা শব্দটা যুগযুগ ধরে তাদেরকেই নিহিত করে রেখেছে আষ্টেপৃষ্টে । এদিকে আমি ক্ষুদ্র একটা মনুষ্য হয়ে অপেক্ষার সেই পালাকে আঁকড়ে ধরে একটা কথা বলার প্রতিক্ষায় কাটিউপন্যাস: অনুতাপ- তাজরীন খন্দকারয়ে দিয়েছি পাঁচ পাঁচটা বছর! ভাবতে পারো দরজায় ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে না পারা ছেলেটা কি করে কারো জন্য ৫ বছর অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারে? আর আমার সেই একটা কথার প্রতিটি অনূভুতির একমাত্র সাক্ষী যে ছিল সেও ফাঁকি দিয়ে হারিয়ে গেলো, শুধু রেখে দিয়েছে কয়েক মিনিট আগে পঠিত তোমার কাছের ওই পৃষ্ঠাটা! এটা একটা সাধারণ পাতা নয় রায়া, এখানে তিনি চেয়েছিলেন আমার ভেতরের সবটা লিখে দিতে, কিন্তু পারেননি। উনার হাত চলেনি, দৃষ্টি স্থির হয়নি, ভেতরের মতো গভীর মাধুর্যপূর্ণ বাক্য খুঁজে পাননি।br রায়া থুতনিতে হাত রেখে অপলক তাকিয়ে আছে। কি সুন্দর করে কথা বলে মানুষটা! এভাবে তার সাথে আর কথা হয়নি রায়ার । কি সব অবস্থায় তাদের ৫ বছর আগে দেখা হয়েছিলো, সেটার স্থায়িত্বও ছিল মাত্র কয়েকদিন। তারপর তো রায়া সেই বাড়ি থেকেই উধাও হয়ে গেলো। আজ এতো বছর পরেও তাকে মনে রেখে, তাকে ভালোবেসে এমন একটা অবিশ্বাস্য সময়ে তার সামনে হাজির হয়েছে সে! যেখানে আজ তার চোখে ভালোবাসার ফাগুন ফুটছে, ঠোঁটে ঝড়ছে প্রেমের বর্ষন! ঠায় হয়ে ভালোবাসার প্রশ্নে চেয়ে আছে,যেন বুকে পাহাড় সমান আত্মবিশ্বাস! তাহলে কি সে জানে রায়াও কোনো একদিন তার দিকে তাকিয়ে ভালোলাগার অতল খুঁজেছিলো, তার মুখপানে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়েছিলো বেশ কিছুক্ষণ!?