বাবা। দুই অক্ষরের একটি শব্দ, অথচ কি বিপুল বিস্ময়কর এর শক্তি। এই শক্তিকে কেবল তুলনা করা চলে পাওয়ার স্টেশনের সঙ্গে। পাওয়ার স্টেশনগুলো কোথায় থাকে? দেখবেন, শহর থেকে একটু দূরে। বাবারাও তেমন। আমাদের কাছ থেকে একটু দূরেই থাকেন, আর পাওয়ার স্টেশনের মতো যোগান দেন যাবতীয় শক্তির। ‘বাবা’ বলতেই কারও কারও চোখে ভেসে উঠতে পারে দূর থেকে আলো ছড়ানো একটা বাতিঘর। বাতিঘরটা পথ দেখায় জাহাজকে। নিয়ে যায় সাঠিক গন্তব্যে। বাবা বলতেই কারও চোখে ভেসে উঠতে পারে এটা অশত্থবৃক্ষ, যে বৃক্ষটা তপ্ত দুপুরে কেবল ছায়াই দেয় না, মায়াও দেয়। বাবা বলতেই কারও চোখে ভেসে উঠতে পারে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার কথা। ভেসে উঠতে পারে একটা নির্ভরতার চাদর। এখনকার বাবারাও কী এমন? একটু দূর থেকে পথ দেখান, একটু দূর থেকে শক্তি যোগান? ছায়া দেন, মায়া দেন, পরম মমতায় নিরাপত্তার চাদরে জড়িয়ে রাখেন? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ছে অনেক কিছু। বদলে যাচ্ছে সবকিছুর সংজ্ঞা। পাল্টে যাচ্ছেন হয়ত বাবারাও। এই পাল্টানো সময়ের বাবাদের সঙ্গে হয়ত খুব একটা মিল পাওয়া যাবে না এই উপন্যাসের বাবার সঙ্গে। এই বাবা অন্যরকম। এই বাবা আনাকোরা। এই বাবা দীর্ঘশ্বাসের মতো। এই বাবা জীবনব্যাপী হাহাকারের মতো প্রিয় এবং পূজ্য। খোলা বইয়ের মতো প্রিয় এই বাবা। আসুন, ‘বাবা’কে পড়ি আর খুঁজি ‘বাবা’ উপন্যাসে।