ঐশী অনীকের কাঁধে আলতো হাত রাখে। বলে, ‘তুমি না সৈনিক। এত সহজে ভেঙে পড়লে হবে! বি ব্রেভ ম্যান, বি স্টেডি! তুমি এখনও হয়তো তোমার শ্রেষ্ঠ শ্রমটুকু দাওনি, সাফল্যের সঠিক দরজায় করাঘাত করোনি, গোলাপ ফোটাতে গেলে কাঁটার খোঁচা সইতে হয় অনীক। মামুলি ঘাসফুল বা ভাঁটফুলের দেখা অনেকেই পায়, ওসব বারোয়ারি ব্যাপার। নীলকমল সবার জন্য নয়, অনীক। তোমাকে আরো বেশি ছুটতে হবে, তবেই তুমি গোলপোস্টের দেখা পাবে। আর সাফল্য মানে শুধু নিজের উৎকর্ষ নয়, বরং সবাইকে নিয়ে মনের আনন্দে একত্রে বাঁচতে হয়। জীবিকা ও জীবন যে এককথা নয়, তাও তোমাকে বুঝতে হবে। সত্যি বলতে, সাকসেস মিনস পিস অব মাইন্ড। যার মনে আনন্দ নেই, শরীর সুস্থ নয়, দিনশেষে সমস্ত অর্জন-- সবকিছুই তার কাছে অর্থহীন।’ ‘যেভাবে জয়ী হতে হয়’ আদতে রাতারাতি অর্থোপার্জন বা সাফল্য পাবার কোনো টোটকা নয়, বরং এখানে এমন কিছু গাইডলাইনস তুলে ধরা হয়েছে যা কিনা জীবনের অনুগামী হতে পারে। শারীরিক সুস্থতা থেকে শুরু করে পারিবারিক ও চাকরিজীবনে উৎকর্ষলাভে অনুসরণীয় রীতিনীতির কথা গল্পকারে বলা হয়েছে। আছে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, এম্প্যাথি, পারসোনাল ব্র্যান্ডিংসহ নানান অনুষঙ্গ। ঐশী আর অনীকের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে তোমরা পুরো বইজুড়ে জানবে বাস্তবানুগ ও শিক্ষণীয় কিছু বিষয়, যা কিনা তোমাদের অনাগত জীবনকে অনেকখানি সমৃদ্ধ করবে বলে ধারণা করা যায়।