পঞ্চাশ বছর বয়েসী এড ওয়ারেন এবং তার স্ত্রী লরেন ওয়ারেন, পেশায় প্রেততাত্ত্বিক বা প্রেত গবেষক। অতিপ্রাকৃত নিয়ে গবেষণায় একটি পুরো জীবন অতিবাহিত করা ওয়ারেনদের রয়েছে অকাল্ট জিনিসের এক সংগ্রহশালা। কী আছে এই দম্পত্তির অকাল্ট মিউজিয়ামে? এখানে আছে অসাধারণ একটা টেপ লাইব্রেরি যাতে লিপিবদ্ধ আছে অতিপ্রাকৃত ঘটনাবলী নিয়ে হাজার হাজার লোকের বছরের পর বছর ধরে নেয়া সাক্ষাৎকারের রেকর্ড। বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনা সম্পর্কিত, বিস্তারিত সাক্ষাৎকারগুলোতে ভয়াল, অদ্ভুত এবং মৃত্যুর মত কাহিনী জড়িয়ে আছে। মিউজিয়ামের প্রতিটি জিনিসের সাথে জড়িয়ে আছে আলাদা আলাদা গল্প।যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য – একটা মুক্তোর মালা যা কেউ গলায় পরলে তার শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসে। আছে লম্বা কালো একটা স্পাইক যেটা বহু আগে একজন জাদুকর ব্যবহার করেছিল শয়তানের বলি হিসাবে তার নবজাতক শিশুকে হত্যা করার জন্য। আছে ভিক্টোরিয়ান পোশাক পরা বড় প্লাস্টার করা একটা পুতুল; শয়তানের সাথে করা চুক্তিপত্রও আছে সংগ্রহের তালিকায়; স্ফটিক বল, আনুষ্ঠানিক তলোয়ার এবং বলি দেয়ার খঞ্জারও আছে। ফস্টার কেস থেকে নিয়ে আসা কালো মোমবাতি ও আত্মা হাজির করার বই এবং এডের অফিসের দরজার পাশে ঝুলানো আছে নিউ জার্সির স্টিভেন জেলনারের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা আত্মা হাজির করার আয়না। বেকফোর্ড কেস থেকে পাওয়া প্ল্যানচেট এবং পুড়ে যাওয়া ছবির ফ্রেমগুলি দেখা যায় কাঠের কেবিনেটের কাছেই এক টেবিলের উপর, যেখানে অ্যানাবেল, কাপড়ের পুতুল রাখা আছে। এবং শেষে, আছে একটা কালো জরিওয়ালা অবগুণ্ঠন। কী ছিল মিউজিয়ামের জিনিসগুলোর নেপথ্য কাহিনী??? জানতে হলে পড়তে থাকুন…