ইসলামের বিষয়ে আলোচনা এলে সাধারণত আমরা ইসলামি বিধিবিধান নিয়েই কথা বলতে দেখি। আমরা কী করতে পারব, কী পারব না; কী আদেশ পালন করতে হবে, কোন নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে থাকতে হবে—এটাই ইসলাম বিষয়ক আলোচনায় মূল প্রতিপাদ্য হয়ে দাঁড়ায়। বস্তুত আল্লাহর প্রতি ঈমানের আলোচনাই হওয়া দরকার ছিল সবার আগে। কারণ, আল্লাহর প্রতি যদি আমাদের যথাযথ ঈমানই না থাকে, তাহলে এই আদেশ-নিষেধ বিষয়ক জ্ঞান আমাদের কী কাজে লাগবে? আদেশ-নিষেধ তো শেষ পর্যন্ত আনুগত্যকেই নির্দেশ করে; কিন্তু কার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করছি, সেটাই যদি জানা না থাকে; তবে সেটা কেমন আনুগত্য হবে? অতএব, আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন আমাদের একেবারেই প্রাথমিক কর্তব্য। আমাদের অবশ্যই সুস্পষ্টভাবে জানতে হবে—আল্লাহ কে? এই বইটি রচনার পিছনে আমার মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠকদেরকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, যিনি আমাদের প্রভু-প্রতিপালক, যিনি উপাসনা লাভের একমাত্র যোগ্য। তবে এই পরিচয়পর্ব আমি কেবল তাঁর নাম ও গুনাবলির পরিচয় বর্ণনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখব না; বরং আমাদের দৈনন্দিন যাপিত জীবনের সঙ্গে এই জ্ঞানের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি আশা করি পাঠকরা এর মধ্য দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চমৎকার সব উপায় খুঁজে পাবেন।
উম্মে আবদুর রহমান সাকিনা হার্শফেল্ডার একজন রিভার্ট মুসলিম। অন্যান্য অনেক রিভার্টেড মুসলিমদের মতো তিনি ইসলাম গ্রহণের পর দীন শেখা ও প্রচারণায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্কলারদের কাছে দীনের পাঠ নিয়েছেন। মুখে ইসলাম গ্রহণ করে মন মননে পশ্চিমা সেক্যুলার চিন্তা ধারণ করে রাখেননি। ব্যক্তি জীবনে এই মহীয়সী নারী সাত সন্তানের জননী। লেখাপড়া করেছেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকান ওপেন ইউনিভার্সিটিতে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলাম শেখার জন্য লেখাপড়া করেছেন দ্য ইন্সটিটিউশন অব ইসলামিক এণ্ড এরাবিক সায়েন্স অব আমেরিকা’তে। মতপার্থক্য সমাধান কিংবা বিতর্ক উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়; বরং বিশ্বাসকে জীবন ঘনিষ্ঠ করে তোলাই তার লেখার মূল প্রতিপাদ্য। দ্য পাথ টু সেলফ ফুলফিলমেন্ট, ফ্রম মনোগ্যামি টু পলিজিনি তার আরও দুটি বই তিনি ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছেন।