একজনকে নিয়ে দেখা স্বপ্নের পথে, অন্য কাউকে নিয়ে কি হাঁটা যায়? তবুও তমা আর ফয়সালের ভিন্ন ভিন্ন পথ কখন যেন একই গন্তব্যে হাঁটতে থাকে। কী এক বিমর্ষ কষ্টের তাড়নায়, দুজনে গড়ে তোলে তমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান “অপরাজিতা”। রেপ ভিকটিমদের শারীরিক ও মানসিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে ওয়ানস্টপ সার্ভিস। সেই “অপরাজিতা”য় একদিন আসে অপরাজিতা নামেরই একটি মেয়ে। জীবন আকাশে জমে ঘন কালো মেঘ। ফয়সালের মনে পড়ে যায়, ছোট বোন নিতুর কথা। তমাকে অস্থির করে তোলে ফেলে আসা দিনের স্মৃতি। অপরাজিতারা বিচ্ছিন্ন কেউ নয়, আমাদের চারপাশেই আছে। আড়ালে হারিয়ে যায় বেশিরভাগ চরিত্রগুলো। জানা হয় না, কেমন করে অন্ধকার স্মৃতিকে পিছনে ফেলে তারা আলোয় বেরিয়ে আসে। কীভাবে হয়ে ওঠে একেকজন অপরাজিতা। পরিবার ও সামাজিক সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে, একটি রেপ ভিকটিম মেয়ের মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। নিজের মনস্তাত্বিক অন্তর্গত দ্বন্দ্বের সাথে প্রিয় মানুষগুলোর সম্পর্কের মিথস্ক্রিয়া, প্রাত্যহিক জীবনের টানাপোড়েনে, ভালোবাসাময় বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের গল্প। বিভীষিকাময় একটি রাত্রিকে পিছনে ফেলে প্রচ- আত্মবিশ্বাসে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে সাথী হয় ফয়সাল, রাবেয়া, আরশ, খলিল, শিহাব, লীনা আরও অনেকে। তমা ও ফয়সালের মতো লেখিকাও বিশ্বাস করেন একদিন সত্যি সত্যি এ পৃথিবীতে নিতু, তমা বা অপরাজিতার মতো অভিজ্ঞতা যেন কারও না হয়, “ছিন্ন মেঘের ফাঁকে” একদিন সূর্যকিরণ আসবেই... আসতেই হবে।