কাহিনি সংক্ষেপ: সময়ের চাকা ঘোরে, যুগ বদলায়, ফেলে যায় শুধুই স্মৃতি, যে স্মৃতি একসময় পরিণত হয় কিংবদন্তিতে। আর এই কিংবদন্তি একসময় মলিন হয়ে পরিণত হয় পৌরাণিক গাথায়। এই গাথাও একটা সময় সবাই ভুলে যায়, তারপর যে যুগে এই গাথার জন্ম, তা আবারও ফিরে আসে। এমনই এক যুগ হলো তৃতীয় যুগ, যে যুগে আমাদের এই গাথার জন্ম। বেল টাইন নামক উৎসবের ঠিক আগে দ্বি-নদে এসে উপস্থিত হয় মোরেইন নামের এক আই সেডাই। আই সেডাইদের ভয়ংকর ক্ষমতার জন্যে ওদের নিয়ে প্রচলিত আছে নানান গালগল্প, যার কারণে কেউই ওর উপস্থিতিকে ভালোভাবে নেয় না। এদিকে, ছায়াঘেরা অরণ্যে ঘোড়ায় চড়া অদ্ভুত এক আলখাল্লাধারীকে দেখতে পায় কয়েকজন গ্রামবাসী। কে এই আলখাল্লাধারী, আর কী চায় সে, তা কেউই জানে না—কেবল এটুকু জানে, ওর মধ্যে আছে প্রবল জিঘাংসা আর ঘৃণা। এরই মাঝে বেল টাইন উৎসবের আগের রাতে গ্রামে আক্রমণ করে বসে ট্রোলক নামের দানবরা। অর্ধেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়, হত্যা করে অনেককেই। মোরেইন আর তার সঙ্গী ল্যান ট্রোলকদের হত্যা করে এই যাত্রায় গ্রামকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়। কিন্তু ও জানায়, দানবগুলো আবারও ফিরে আসবে, সাথে আসবে ঐ আলখাল্লাধারীও। কারণ... সময়ের চাকা ঘোরার সাথে পাল্লা দিয়ে আঁধারের প্রভু শাইতানের সাথে লড়াই হয় আলোর প্রতিনিধি ড্রাগনের। সর্বশেষ ড্রাগন যে ছিলো, সে তার নিজের ভুলে ধ্বংস করে দেয় পুরো পৃথিবীকে, ফলে সবকিছু শুরু হয় আবার গোড়া থেকে। আর এই ড্রাগনের পুনর্জন্ম হয়েছে আবারও, আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে এই দ্বি-নদেই। কে সে, মোরেইন জানে না, শুধু জানে, ড্রাগনকে আঁধারের প্রভু খুঁজে নেওয়ার আগেই ওর খুঁজে নিতে হবে, নিয়ে যেতে হবে নিরাপদ স্থানে।