কবিতা যখন-তখন লেখা যায় না, যখন-তখন মাথা থেকে বের হয় না। কবিতা ক্রমাগত চর্চার বিষয়, হুটহাট কবিতা হয় না। কবিতার জন্য নিমগ্ন ভাবনা দরকার, দরকার একাগ্রতা। এক কথায়, কবিতা যখন কাউকে পেয়ে বসে, তখনই তার কলম দিয়ে কবিতা বের হয়। ফুটে ওঠে চিরসবুজ প্রেম-ভালোবাসা, সুখ-দুঃখের কল্পকথা ও মানুষের জীবনবোধের উপাখ্যান। কবিতার মাধ্যমে যে গল্প তুলে ধরা সম্ভব, তা অন্যকোনো ভাবে বর্হিপ্রকাশের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। ‘একটি জারুল ফুল’ কাব্যগ্রন্থে উদীয়মান লেখক আশফিকা আঁখিকে কবিতা পেয়ে বসেছে। বলা যেতে পারে- কবিতারোগে আক্রান্ত তিনি! তাইতো বাস্তবতার নিরিখে কবিতা রচনা করে চলেছেন। তাঁর কবিতায় উঠে এসেছে অব্যক্ত জীবনের দুঃখগাঁথা। কখনও কখনও মনে হয়েছে- কবিতার মাধ্যমে পাঠকের মনের অব্যক্ত কষ্টের কথা কবি তাঁর কোমল তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। সেখান থেকে ভেসে আসছে কুয়াশার মত ঘন শুভ্র দুঃখ। বিরহী মনের প্রেম, দুঃখগাঁথা ও হাহাকার পাঠককে ভাবিয়ে তোলার মধ্যদিয়ে সার্থকতা বির্নিমাণে সফল হবে। কবি আশফিকা আঁখি কবিতা লেখায় নতুন হলেও তিনি তাঁর কবিতায় পরিপক্কতার ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। নিগাঢ় বাস্তবতা তার কবিতায় দৃশ্যমান হয়েছে। হয়ত তিনি কবিতার ঘোরে আছেন। এই ঘোর যতদিন থাকবে, ততদিন এমন সুন্দর সুন্দর কবিতা আমরা উপহার পাব বলে প্রত্যাশা রাখি। ‘একটি জারুল ফুল’ নামকরণের মধ্যদিয়েও কাব্যগ্রন্থটি তার অনবদ্যতায় পৌঁছে গেছে। কবির প্রথম উদ্যোগকে পাঠক ভালোবেসে আগলে নিবে। চিরন্তন শুভকামনা জ্ঞাপন করছি।