শুরু হল আমাদের ভালোবাসার অধ্যায়- যেটা কিনা আমি কখনো কল্পনাই করি নাই, তাও ওর সাথে। তারপর থেকে আমরা খুব কাছাকাছি চলে আসি। রায়হান আমাকে চিঠি দিত, আমিও চিঠি দিতাম যেদিন আমাদের দেখা হত। আমি বুঝতে পারি ও আমাকে ভালবাসে। আমিও ওকে অনেক ভালবাসতে লাগলাম। তারপর আমাদের মধ্যে অনেক ঝগড়াঝাঁটি এবং কথা কাটাকাটি হত ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে। কিছুদিন পর পরই আমাদের ব্রেক আপ হতো। আবার মিলেও যেতাম। রায়হান অনেক বদমেজাজি ছিল, ঠিক আমিও তেমন ছিলাম। তাই আমাদের মধ্যে ঝগড়াটাই বেশি হতো। আবার মিল হলে আদরও কম হতো না। আমাকে দেওয়া রায়হান এর প্রথম গিফট ছিল চারটা চুড়ি আর একটা নেকলেস। সাথে সুন্দর ম্যাচিং কানের দুল। ওর দেওয়া উপহার আমার অনেক পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু চুড়িগুলা আমার হাতে হয়নি, তাই পরতে পারিনি। আমি খুব যত্ন করে রেখেছিলাম এই ভেবে যে, যেদিন আমাদের একটা ফুটফুটে মেয়ে হবে, তাকে দিব আর বলব দেখো তোমার বাবার আমাকে দেওয়া প্রথম উপহার। আমি রায়হানকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম, তুমি আমাকে সত্যি ভালোবাসো?” ওর উত্তর, “ হ্যাঁ, আই লাভ ইউ এবং তুমি আমার সব। আসলে আমি ওকে কখনো বলিনি আই লাভ ইউ কিন্তু ওকে আমি অনেক ভালবাসতাম যেটা আমি বলতে পারি নাই। কারণ আমার ধারণা ছিল ছেলেরা যদি একবার বুঝতে পারে তাহলে ওই ছেলে মেয়েটাকে আর ভালবাসবে না। যদিও ধারণাটা ভুল ছিল। ওই যে বললাম আমি অনেক কম বুঝি এবং মানুষকে চিনতে ভুল করি! সবার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ভিন্ন হয়। ঠিক আমারটাও ভিন্ন ছিল। আমি রায়হানকে অনেক ভালবাসতাম কিন্তু বলতাম না। ও অনেক বলত, আমাকে অনেক ভালবাসে। আসলে কি ওর ভালবাসা সত্যি ছিল?
বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে একজন ম্যানেজার পদে কর্মরত আছেন। জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর, ঢাকা। তিনি বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেন। ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে যাচ্ছেন। কাজের সময়টুকুর পর পুরো অবসর সময়টুকু কাটে নিজের জন্য লেখালেখি করে। তার প্রথম উপন্যাস “মনঘুড়ি” বইটিতে লেখিকা জীবনের বাস্তব কিছু দিক তুলে ধরেছেন। মনঘুড়ি উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে একুশে বইমেলা ২০২২, শিখা প্রকাশনী থেকে।