শখের বশে লেখালেখিটা শুরু করেছিলেন সাদেকুল রহমাতুল্লাহ। তীর্যক সমালোচনা ছাড়া আর কিছুই জোটেনি তার কপালে; তকমা পেয়ে যান একজন ব্যর্থ লেখকের। কিন্তু আজ এতদিন পর এখনকার এক জনপ্রিয় লেখকের সাথে তার কী সম্পর্ক? তারা কি একই ব্যক্তি? নাকি একজন লিখে দিচ্ছেন আরেকজনের গল্প? এদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধার ৭১-এর স্মৃতিকথা লিখে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছে অনিন্দ্য মির্জা। রহস্যময় এই যুবকের আসলে উদ্দেশ্যটা কী? ব্রিটিশ পপশিল্পী লেক্সি ফিওনা দুম করে আত্মহত্যা করে বসল, তখন নড়েচড়ে বসলেন ইন্টেলিজেন্স চীফ মারভিন নোভ্যাক...প্রতিভাধর সব শিল্পীরা এভাবে হঠাৎ-হঠাৎ মারা পড়ছে কেন? বরিশালগামী লঞ্চে প্রতিষ্ঠিত একজন লেখকের সাথে অকস্মাৎ দেখা হয়ে গেল তারই এক ভক্ত পাঠকের...ব্যাপারটাকে কি আদৌ আকস্মিক বলা যায়? নাকি পূর্ব পরিকল্পিত? শেষ অংকে হাজির অনিন্দ্য মির্জাও। তবে কি ওর হাত ধরেই খুলতে যাচ্ছে সমস্ত রহস্যের জট? নাকি অনিন্দ্য, লেখক আর তার ভক্ত পাঠক...এরা সবাই-ই অভূতপূর্ব এক নাটকের পার্শ্ব কিছু চরিত্র মাত্র?! একজন শিল্পী...তিনি লেখক, চিত্রকর কিংবা চলচ্চিত্র নির্মাতা যাই হোন না কেন, তাদের সৃজনশীলতার জগতটা কতটা রহস্যময় হতে পারে বলে আপনার ধারণা? যে জগতের গভীরে হয়ত লুকিয়ে আছে গূঢ়, বিস্ময়কর কোনো সত্য!