ছোট্ট মেয়ে তুপা। পালিয়েছে বাসা থেকে। কারণ বাবা-মাকে একত্র করতে চায় সে। তার বাবা প্রতি রাতে মদ খেয়ে এসে মাকে পিটায়, চিৎকার করে বাসা মাথায় তোলে। এমনকি জনপ্রিয় একটি উপন্যাস লিখতে না-পারার আক্রোশে নিজের সন্তানকে খুন পর্যন্ত করতে উদ্যত হয় আশফাক চৌধুরী, মেরে ফেলতে চায় তুপা আর ওর মাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত কিছুই করতে পারে না লোকটা, তাই হতাশাগ্রস্ত আশফাক সিদ্ধান্ত নেয় ডিভোর্সের...ওরা কেউ একবারের জন্যেও তুপার কথা চিন্তা করে না... অন্যদিকে মায়ের নির্দেশে প্রেমিক অশ্রুর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করছে নাজিবা, অশ্রু তাকে কোনোভাবেই বোঝাতে পারছে না ‘নাজিবা’ ছাড়া অশ্রুর জীবন কতটা অর্থহীন, শূন্য। আপাতনিষ্ঠুর নাজিবা নিজের সিদ্ধান্তে অটল...ব্রেকআপ মানে ব্রেকআপ, এরপর আর কোনো কথা চলবে না... পুলিশ অফিসার মাঈনুল হাসান ‘তুপা-উধাও রহস্যে’র তদন্ত করতে গিয়ে অবাক হয়ে লক্ষ করছে, বাসা থেকে বেরিয়ে যেন বেমালুম বাতাসে মিলিয়ে গেছে বাচ্চাটা, দুনিয়ার কোথাও ওর টিকিটির সন্ধান মিলছে না... আতঙ্কের করালগ্রাসে বন্দি তুপা চোখ পিটপিট করে দেখছে, ক্রমেই গিরগিটির মতো হামাগুড়ি দিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে ছায়াটা, ওটার হাতে ধরা চকচকে একটা ব্লেড। খলখল করে হেসে উঠল মানুষরূপী পিশাচটা...নাকি ‘অমানুষ’বলবে ওটাকে সে? প্রিয় পাঠক, সুস্ময় সুমনের কলমে আরও একবার ডার্ক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, যা আপনাকে নিয়ে যাবে মানবমনের সেই গহীন রোমহর্ষক কুঠুরিতে, যেটা পড়তে গিয়ে বারবার আপনি শিউরে উঠে ভাববেন, হে মানুষ, তুমি মানুষ হবে কবে? মানুষ হবে কবে?