বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ খুব বেশি দায়ী নয়, অথচ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই দেশটি। উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উন্নয়নের বলি হচ্ছে বাংলাদেশ তথা এ দেশের জনগোষ্ঠী। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তারা ব্যাপকহারে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলছে পাল্লা দিয়ে। তাতে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে গেছে যেমন, তেমনি আবার নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সিএফসি গ্যাসের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। এক কথায় শিল্পোন্নত দেশগুলোর খামখেয়ালিপনার কারণে সিএফসি গ্যাস, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের নির্গমন বেড়ে গেছে। যে গ্যাস নিঃসরণের কারণে পৃথিবীর ফিল্টার নামে খ্যাত ওজোনস্তর ক্রমশ পাতলা হয়ে ভূপৃষ্ঠ তপ্ত হচ্ছে। যার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে বছর বছর। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে যেমন, তেমনি শীতে তাপমাত্রা মাইনাসের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে কোথাও কোথাও। শীতপ্রধান দেশগুলোর কথা ভিন্ন। তবে শীতপ্রধান দেশ মাইনাসের কারণে নয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার প্রভাবে হিমবাহের চাঁই গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যেমন, তেমনি সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে জলস্ফীতি হয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো।
আলম শাইন। বাবা: মাে: মনির আহমেদ। মা: হােসনেআরা বেগম। জন্ম: ৫ মাঘ ১৩৭৭ বাংলা। জন্মস্থান: পূর্বচরপাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর। একাধারে তিনি কথাসাহিত্যিক, কলাম লেখক, প্রবন্ধকার, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ। হাজাম’ সম্প্রদায় নিয়ে তার লেখা উপন্যাস বােদ্ধা পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উপন্যাসটি দৈনিক জনকণ্ঠ ও কলকাতার উদ্দালক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং ড.মঞ্জুশ্রী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৮'-এ ভূষিত হয়েছে। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবর্তিত বােস্টন বাংলা নিউজ অ্যাওয়ার্ড২০১৫ ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়াও কথাসাহিত্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বিজয় দিবস সম্মাননা২০১৭' প্রদান করছে ক্যানভাস অব বাংলাদেশ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ১৩টি। দেশের প্রথম শ্রেণির দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচারের সংখ্যাও কম নয়; হাজার ছাড়িয়ে গেছে । তন্মধ্যে পাখ-পাখালি নিয়ে প্রকাশিত ফিচারের সংখ্যা পাঁচশতাধিক। ঘুণে খাওয়া বাঁশি’ উপন্যাসটি দৈনিক মানবকণ্ঠ এনটিভি অনলাইন ও বােস্টন বাংলা নিউজ এ ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছে।