‘কবিতার আঁচল’ কাব্যগ্রন্থটির নামকরণের ইতিহাস খুবই মধুময়। কবিতা যখন শাড়ির আঁচলে গেঁথে যায়, কিংবা শাড়ির অঁাচল যখন কবিতার আদলে সাজে। আর এই আয়োজনে যখন থাকে একজন প্রিয় পাঠকের ভালোবাসার আঁকিবুঁকি। তখনই লেখক মনে জন্ম নেয় কবিতার অঁাচলের প্রতিচ্ছবি। এখানেও তাই হলো। আমার লেখার একনিষ্ঠ পাঠক সুহৃৎ। চমৎকার মায়াবী আবৃত্তিতে আমার কবিতাকে নিয়মিত ঋদ্ধ করে যাওয়া আদুরে ছোট্ট সোনা বোন। একজন দক্ষ শিল্পী লাবনী পিংকী তার রংতুলিতে এঁকে যাচ্ছে শাড়ির আঁচলে একের পর এক আমার লেখা কবিতা। তৈরি করে যাচ্ছে তার রংতুলির অঁাচড়ে অগুনতি কবিতা শাড়ি, কাব্য পাঞ্জাবি, কবিতা শাল, কাব্য মাস্ক নামের অসাধারণ সুন্দর সব কবিতার অঁাচল। সাথে অঁাকছে ফুল, পাতা, পাখি ও আমার প্রকাশিত বইগুলোর প্রচ্ছদের কারুকাজ। ডুবে থাকছে সারাবেলা আমার লেখা কবিতা, গল্প উপন্যাসের অক্ষর স্রোতে। এ আমার জন্য সৃষ্টিকর্তার অসীম ও অনন্য সুন্দর নেয়ামত। তাইতো আমার প্রিয় সোনা বোন লাবনী পিংকীর এই কারুকার্যে মুগ্ধ হয়ে তাকে উৎসর্গ করে নামকরণ করলাম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার আঁচল’। কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ করালাম লাবনী পিংকীর আঁকা কবিতার আঁচল দিয়ে। আর বইটি উৎসর্গ করলাম আমার এই সুপ্রিয় পাঠক সুহৃৎ আমার প্রিয় সোনা বোন লাবনী পিংকীকে। ভালোবাসার যেমন ঋণ হয় না। তেমনি ভালোবাসার ঋণ শোধ করাও যায় না। এমন মহান ও বিশুদ্ধ বোধের ভালোবাসাকে নিজের সৃষ্টির সাথে জড়িয়ে রাখলাম আজীবনের জন্য। ভালোবাসা প্রিয় সোনা বোন ভালোবাসা। - নাজনীন নাহার
পিতা মোঃ বিল্লাল হোসেন ও মাতা বিলকিছ বেগমের ঘরে ৫ই আগস্ট ২০০০ সালে জন্মগ্রহন করেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে নাজনীন তৃতীয়। নেয়ামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী, বালুঘাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পাশ করে বর্তমানে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এ উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত। বাবা একজন সঙ্গীতশিল্পী। তাঁরই অনুপ্রেরণায় লেখালেখির হাতেখড়ি। ছোটবেলা থেকেই লিখছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও লিটলম্যাগে। প্রিয় শখ বইপড়া, গাছ লাগানো, লেখালেখি ও গান শোনা। ভবিষ্যতে একজন আদর্শবান ডাক্তার হয়ে অসুস্থ মানুষের সেবা করাই তাঁর জীবনের লক্ষ্য।