দ্বীপ অবাক হয়ে ইরানীর দিকে তাকিয়ে রইল। বিচ্ছেদ হবার পরে মেয়েরা কেঁদেকেটে সুইসাইড করতে পর্যন্তও যায় অথচ ইরানী এত দ্রুত নতুন কাউকে পছন্দ করেও ফেলেছে! দ্বীপ ঝাঁজালোস্বরে বলল, "আমি কি ঘটকালির এজেন্সি খুলেছি? সেদিন বললি, নেহালের সাথে বিয়ের জন্য যেন বাড়ির সবাইকে বুঝাই। আমি তাই করলাম। এখন আবার আরেকজনকে নিয়ে এসেছিস। আমি আর পারব না এসব।" -"আগের বিষয় আর এখনকার বিষয় আলাদা। আগে বাড়ির লোকদের রাজী করাতে বলেছিলাম, আর এখন বলছি, আপনি পাত্রকে রাজী করান।" -"তুই তাকে বলিসনি, তাকে তুই বিয়ে করতে চাস?" -"বলিনি। কারণ তার মতন হাড়ে বজ্জাত ছেলে পৃথিবীতে দুটো নেই। সে একটা ডাইনোসর প্রজাতির প্রাণী।" -"দেশে মানুষের এতই আকাল ছিল যে তুই বিরল প্রজাতির প্রাণীকে বিয়ে করতে চাইছিস?" -"আমি তার স্বভাব এবং আচার-আচরণের কথা বলছি।" -"মুভিতে দেখেছি, ডাইনোসরের মুখ থেকে আগুন বের হয়। ওই ছেলের মুখ থেকেও আগুন বের হয় না কি? " -"আগুন বের না হলেও ঝাঁঝ বের হয়। কথা পেঁচিয়ে জিলাপি বানাতে এক্সপার্ট সে।" -"এমন জঘন্য জিলাপিওয়ালাকে তুই ভালোবাসিস আবার বিয়ে করতেও চাইছিস? তোর রুচি তো দেখছি মহাজঘন্য।" -"ভালোবাসা হয়নি এখনও। দ্রুতই তাকে ভালোবাসা শুরু করব। ভালোবাসায় তো জাত, কুল নেই তাই ওই হাড়ে বজ্জাত অ্যানাকোন্ডাকেই ভালোবাসব।" -"এখনই তো বললি সে ডায়ইনোসর প্রজাতির, আবার বলছিস অ্যানাকোন্ডা; যেকোনো একটা বল। একজন তো দুটো ক্যারেক্টর বহন করতে পারে না।" -"যেকোনো একটা কেন বলব? পৃথিবীর সব জঘন্য প্রাণীর সাথে তার তুলনা করব।" -"এমন প্রজাতির প্রাণীর সাথে আমি কথা বলব তোর জন্য? ইম্পসিবল। আমি একজন মানুষ হয়ে জঘন্য প্রজাতির প্রাণীর সাথে কিছুতেই কথা বলব না।"