পুরাণ নিয়ে কৌতূহল কার নেই? কেউ হয়তো ছোটবেলা থেকেই পৌরাণিক কাহিনীতে উঁকিঝুঁকি মেরে আসছেন, কেউ মজেছেন বড় হয়ে। কেউ আবার একটু বেশি মজে গিয়ে ধরেছেন লেখালেখি। যেমন, লেখকদ্বয়। তাদের এক কথা, পুরাণ নিয়ে যত রসালো বই, বেশিরভাগই অন্য ভাষায়। তাই বলে বাংলার পাঠক রসে ভরা পুরাণ পড়বেন না? পুরাণকে খটোমটো ভাষা থেকে বের করে সরলভাবে উপস্থাপন করার জন্য তারা মুখবইয়ের ‘মিথলজি’ পেইজে কাজ করেছেন টানা কয়েক বছর। সেই সুতো ধরে একটা বই প্রকাশ করাও দরকারি হয়ে পড়ল। এক মলাটের ভেতর বিভিন্ন অঞ্চলের পৌরাণিক প্রেমকাহিনি নিয়ে এই বই। প্রেম-ভালোবাসা বিভিন্ন পুরাণের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে। উমার সাথে শিবের বিচ্ছেদ শিবকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু উমা আবার পার্বতী হয়ে ফিরে এসে শিবের সেই ধ্বংসাত্মক শক্তিকে বশে এনেছিল ভালোবাসা দিয়ে। দেবতা অ্যাপোলোর প্রেমে পড়ায় হিংসার বশবর্তী হয়ে পবনদেবতা য্যাফিরাস মেরে ফেলেছিল মর্ত্যের যুবক হায়াসিন্থকে, যাকে সে নিজেও ভালোবেসেছিল। প্রেমিককে অমর করে রাখতে অ্যাপোলো তখন সৃষ্টি করলেন হায়াসিন্থ নামের ফুল। য্যাফিরাসের ভালোবাসা যেখানে ধ্বংস করেছিল সব, সেখানে অ্যাপোলোর প্রেম তৈরি করেছিল সুন্দর কিছু। পুরাণের বেশিরভাগ চরিত্রের কাজকর্মই আসলে প্রেম-ভালোবাসার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন ঘটনার প্রতিক্রিয়া। তাই এগুলো নিয়ে লেখালেখি না হলে পাঠকেরা মশলাদার কিছু থেকে বঞ্চিত হবেন। লেখকদ্বয় সেটা চান না বলেই এই বই।