লবঙ্গ রোদকে কোলে নিয়ে বলল, এক হাতে কত দিক সামলাব? বুয়ার আসার নাম নেই। রোজ দেরি করে আসে। তাড়াতাড়ি এসে আমাকে হেল্প করলে তো আমি একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। কিন্তু না, সেই কপাল কি আমার আছে! বুয়া রোজ ইচ্ছে করে দেরি করে আসে। জিজ্ঞেস করলেই বলে, আমার নাতনির জ্বর হইছে। তার মুখের ভঙ্গিতেই বোঝা যায় সে মিথ্যে বলছে। রেহাল বিরক্তিকর স্বরে বলল, তাহলে বুয়া বদলে ফেলো। টাকা দিয়ে এমন অকাজের বুয়া রেখে কী লাভ! আরে না। বলো কী তুমি? শেফালি খালা আমাদের কত পুরোনো বুয়া। রোদকে অনেক আদর করে। এমন বিশ্বস্ত বুয়া আমি আর কোথায় পাব? একটু দেরি করে আসে, অজুহাত দেয় কিন্তু মানুষ খারাপ না। তোমার এই বুয়ার প্যানপ্যানের জন্য আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আজকে আর খাবার খাওয়া লাগবে না আমার। ক্যান্টিন থেকে খেয়ে নেব। পারলে ছেলেটাকে একটু খেয়াল করে দেখে রেখো। ঠোঁটের কোনায় ঔষধ লাগিয়ে দিয়ো। আমার মতো অফিস করা লাগলে যে কী করতা তুমি কে জানে! লবঙ্গ চুপচাপ রোদকে কোলে নিয়ে বসে রইল। নাস্তা বানানো হলো না। রেহাল না-খেয়েই অফিস চলে গেল। স্ত্রী হিসেবে সে রেহালকে হয়তো সুখী করতে পারছে না। নয়তো রেহাল ধীরে ধীরে এতটা বদলে যেত না। বোধহয় সব দোষ তারই। রোদের ঠোঁটে ওষুধ লাগিয়ে ওকে শাশুড়ির কাছে দিয়ে এল। বুয়ার আসার খবর নেই। ধোয়া-মোছা, রান্না সব কাজ পড়ে আছে। বুয়ার আশায় বসে থাকলে দেরি হয়ে যাবে। লবঙ্গ নিজেই কাজে হাত লাগাল। রান্না প্রায় অর্ধেক হয়ে এসেছে এমন সময় বুয়া এল। লবঙ্গ বুয়াকে দেখেও কোনো কথা বলল না। বুয়াই নিজে থেকেই বলল, আজকে অনেক দেরি হইয়া গেল। আমার নাতনির...