দুয়ারী আমার প্রকাশিত দ্বিতীয় উপন্যাস। ডুবসাঁতার প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠকের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার এই লোভ আমাকে বারবার তাড়া করে। একজন লেখকের কাছে তার প্রতিটা বই একেকটা মস্তিস্কের সন্তান। আমার এই সন্তানকে আমি মস্তিস্কে ধারণ করে কালো অক্ষরের ছাপায় পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছি। দুয়ারী মূলত একটি সমকালীন সামাজিক রোমান্টিক উপন্যাস। এই উপন্যাস লিখতে লিখতে আমি একটা সময় আবিষ্কার করলাম একজন লেখক কখনওই তার গল্পের চরিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বরং গল্পের প্রতিটা চরিত্র যেন লেখককে নিয়ন্ত্রণ করে। জহির চরিত্রটা আমাকে বেশ ভাবিয়েছে, কাঁদিয়েছে। সন্তানের দুয়ারী হতে যেয়ে একজন বাবা হয়ে উঠেছেন অপরাধী। সেই অপরাধবোধ তাকে কুঁড়েকুঁড়ে খেয়েছে দিনের পর দিন। লেখালেখি শুরু করার পর অনেক গুণীজনের ভালোবাসায় আমি সিক্ত হয়েছি। অনেক সিনিয়র লেখকের সাথে একটা মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। যারা আমাকে স্নেহ ভালোবাসায় আপন করে নিয়েছেন। আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। একজনের কথা না বললে নয়। লেখিকা তামান্না জেনিফার আপু। এই মানুষটা আমাকে বারবার ঋণী করেছেন। তাঁর উৎসাহ অনুপ্রেরণা আমাকে বারবার বিমোহিত করেছে। দুয়ারী উপন্যাস পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার পথ সহজ করে দেওয়ার জন্যে এই মানুষটার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি পাললিক সৌরভ প্রকাশনীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম হযরত আলী দাদুর প্রতি। তিনি আমার মতো একজন নবীন লেখকের উপর আস্থা রেখে দুয়ারীকে পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রিয় পাঠক আপনার প্রতি রইলো ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা দুয়ারীকে আগলে নেওয়ার জন্যে।
শফিক আহমেদ, জন্ম ১৭ ই সেপ্টেম্বর, শুক্রবার গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কাশিয়ানী উপজেলায়।ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি প্রবল আকর্ষণ তার। বইয়ের মাঝে বুঁদ হয়ে থাকতে পছন্দ করেন । একজন অতি সাধারণ মানুষ। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে সেই ছেলেটা লিখছে, তার গল্প শোনার নিমন্ত্রণ।