বইয়ের ফ্ল্যাপ: যিনি কবিতার রোমান্টিকতার পাখায় ভর দিয়ে প্রদক্ষিণ করেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। যিনি রোমান্টিকতার তখতে বসে শব্দের জাদু দিয়ে মন্থন করেন বিশ্বসংসার তিনি- ‘মনোজোছনায় শঙ্খচিল’ কাব্যগ্রন্থের কবি জাহিদুর রহমান বিশ্বাস। আপদমস্তক রোমান্টিক ঘরাণার কবি’র কবিতার মূল উপজীব্য বিষয় প্রেম ও প্রকৃতি। গ্রাম বাংলার সবুজ নিসর্গ তাঁর কলমে মূর্ত্য হয়ে ওঠে। কবি গদ্য ছন্দে লিখতে পছন্দ করেন।br> পরাবাস্তববাদের ভাবনায় তাড়িত কবি জাহিদুর রহমান বিশ্বাস লম্বা পয়ারে কবিতাকে রূপ দিয়ে থাকেন আর তার ভেতরে প্রথিত করে দেন বাহারি শব্দের বর্ণিল রংধনু। সুনীলের মতো বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে আনেন পঙক্তির একশত আটটি নীল পদ্ম। অনন্য সাহস কবি’র শঙ্কাহীন কলমে কোনো এক উর্বশীর শাড়ির ভাঁজে এঁকে দেন মনের মাধুরী মিশানো নান্দনিক কথামালা। তাই কবি লিখতে পারেন-br> 'মুক্ত পায়রার মতো ডানা মেললোbr> শুভ্র মেঘের ভেলা ভাসিয়ে নিলো তোমায়br> শাড়ির অবাধ্য আঁচল ছুঁয়ে দিলো রঙধনুbr> শরীরের ভাঁজে ভাঁজে লেখা রইলো রোমান্টিক কবিতা।' br> কবি স্বপ্ন দেখতে এবং স্বপ্ন দেখাতে পছন্দ করেন। তা সে যতই অবাস্তবই হোক না কেন। তাঁর সারা কবিতার শরীর জুড়ে পোস্টারের মতো ভেসে উঠে নিসর্গের চির অম্লান প্রতিচ্ছায়া। তিনি কবিতাকে সাজান জীবন নাটকের গল্পকথা দিয়ে। তাই তাঁর কবিতা পড়ে পাঠক মাত্রেই আন্দোলিত হবেন। চিত্রকল্প নির্ভর কবি'র কবিতায় উপমা, উতপ্রেক্ষা, অলংকার সবই আছে আর অছে এক নবীন কপোতের উড়াল দেয়ার ডানা ঝাপটানি। আমার বিশ্বাস কবি’র কবিতা আরো বহুদূর যাবে। জয় করবে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা। br> কবি’র জন্য শুভ কামনা।br> মাহবুব খানbr> কবি ও ঔপন্যাসিকbr> প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, br> অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ।