বিস্মৃতির অতলে তুমি আমি কবি জুয়েল খান সুদূর জাজিরাতুল আরবের মাটিতে অবস্থান করেও যিনি দেশের কথা, জন্মভূমির কথা বিস্মৃত হননি। উপরোন্ত প্রবাসে বসেও মায়ের ভাষায় কাব্য সাধনা চালিয়ে যান। যার লেখনিতে দেশপ্রেম প্রচন্ডভাবে মেরুজ্যোতির মতো উদ্ভাসিত তিনি 'বিস্মৃতির অতলে তুমি আমি" কাব্যগ্রন্থের লেখক কবি মোঃ জুয়েল খান। গদ্য ও অন্তমিলে তার কবিতাকে সাজিয়ে থাকেন কবি। প্রতিবাদের ভাষা কবি'র অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। শোসন, বঞ্চনা আর লুটপাটের বিরুদ্ধে একমাত্র কবি'রাই রুখে দাড়াতে পারেন। যা তিনি তাঁর কাব্যগ্রন্থের পাতায় রঙ তুলির আচড়ে দৃশ্যমান করে রেখেছেন। কবি'র এই কাব্যগ্রন্থ জুড়ে কবির আরাধ্য এক ছায়া মানবীর উজ্জ্বল উপস্থিতি সন্ধ্যা তারার মতো দৃশ্যমান। সেই ছায়ানারী তাঁর কবিতাকে আরো সচল করে তুলেছে। তার স্মরণে কবি 'তোমার আমার স্মৃতি নেই' কবিতায়- প্রিয়তমার স্মৃতির মিনার গড়ে তাকে অমর করে রাখতে চেয়েছেন। কবি'র এই কাব্যগ্রন্থ প্রেয়সী বন্দনার এক চমৎকার উপাখ্যান যা মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত কাব্যে যক্ষ প্রিয়ার বিরহের কথা মনে করিয়ে দেয়। পরবাসে অবস্থান করেও তিনি মনের মাধুরী মিশিয়ে হাজার তারার রঙের আবীরে প্রিয়তমাকে চিরঞ্জীব করে রাখতে চান। কবি একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ। রাজনীতির কুৎসিত অন্ধকার দিকগুলো কবি দারুন মুন্সিয়ানায় তুলে ধরেছেন তাঁর কবিতায়। শুধু তাই নয় কবি পরিবেশকে নিয়েও ভাবেন, তাই বৃক্ষকেও টেনে এনেছেন পরম মমতায়। কবির এই কাব্য সাধনা আরো বহুদূর যাক। অতিক্রম করুক হাজার আলোকবর্ষৈর বর্ণীল ছায়াপথ। সেই সাথে জয় করে আনুখ ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা। কবির জন্য শুভ কামনা। মাহবুব খান কবি, উপন্যাসিক প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ।