বাবা-মায়েরা চান সন্তান শুধু লেখাপড়ায় না, সবকিছুতে ভালো করুক। সেরাদের সেরা হয়ে মুখ উজ্জ্বল করুক। আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠুক। সন্তানকে ঘিরে এসব স্বপ্ন পূরণের জন্য বাবা-মায়েরা সাধ্যমতো সবকিছু করার চেষ্টা করেন। বাস্তবে তাদের এই প্রচেষ্টায় নানা ধরণের সমস্যা বাধা সৃষ্টি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গতানুগতিক কৌশল প্রয়োগ করে এসব সমস্যা মোকাবিলা করা হয়। ফলে যথেষ্ট মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও অনেক ছেলেমেয়ে বাবা-মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না। কেউ কেউ বিপথগামী হয়ে নিজের পরিবার ও সমাজের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সন্তান মানুষ করতে গিয়ে অভিভাবকরা অজান্তেই কিছু ভুল করেন। এর পিছনে মোটাদাগে কিছু কারণ আছে। যেমন, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকা। সমস্যা মোকাবিলায় উপযুক্ত কলা-কৌশল জানা না থাকা। বিভিন্ন বয়সে সন্তানের চাহিদা ও যতœ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা। ব্যক্তিগত আচরণ ও অভ্যাসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন না আনা। করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো মেনে চলার ব্যাপারে উদাসীন থাকা। ধর্মীয় বিধি-বিধান এড়িয়ে চলার চেষ্টা ইত্যাদি। এসব উপেক্ষিত বিষয় বইটির মূল উপজীব্য। বইটিতে সব বয়সের বাবা-মাকে প্যারেন্টিং বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সন্তান মানুষ করার কাজে সফল হওয়ার জন্য এখানে কার্যকর নানা উপায় বর্ণনা করা হয়েছে। জীবনের গল্প শিরোনামে বর্তমান সময়ের বেশকিছু পারিবারিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। চিন্তাশীল পাঠক এসব গল্পের মধ্যে প্যারেন্টিং বিষয়ে অনেক প্রয়োজনীয় শিক্ষা খুঁজে পাবেন। বইটিতে প্রায় শ’খানেক আঁকা ছবি রয়েছে। বইয়ের লিখিত অংশ বুঝতে ছবিগুলো বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা। জন্ম : ১৯৬৯ সালে গাইবান্ধায়। লেখাপড়া করেছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে। এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বাের্ডের মানবিক বিভাগে মেধাতালিকায় চতুর্থ ও এইচএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় হন। এরপর ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে কোলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিনােলজি এন্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস-এ মাস্টার্স করেন। ১৮তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যােগদান করেন। এর আগে বাংলাদেশ টাইমস-এ স্টাফ রিপাের্টার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। কিছুদিন আইএফআইসি ব্যাংকে অফিসার হিসাবে কাজ করেছেন। পুলিশ সার্ভিসে যােগদানের পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কসােভাে, লাইবেরিয়া ও সুদানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময় ভারত, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ইটালি, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ঘানা, আইভােরিকোস্ট, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন। স্ত্রী আতিয়া হুসনা ২৪ বিসিএস-এর একজন পুলিশ কর্মকর্তা। দুই কন্যা সাহিরা নুদার ও রাইনা নাওয়ার । দুজনই মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী। প্রথম জন বর্তমানে ‘এ’ লেভেল ও দ্বিতীয় জন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। সমাজ ও দেশ নিয়ে ভাবেন। সকল পরিবারকে সুখী দেখতে চান।