দেশ-বিদেশে নানা জায়গা ঘুরে বিভিন্ন পেশা, নেশা আর সংস্কৃতির মানুষকে মাথার ভেতর বয়ে নিয়ে প্রতিটি গল্পের চরিত্র চিত্রায়ণ করা হয়েছে। তাদের ভেতর কেউ বেশ ভাবুক, কেউ মা-হারা সন্তানের স্নেহপরায়ণ পিতা, কেউ সংবেদনশীল টুর গাইড। এ ছাড়া আছে বখে যাওয়া কৌশলী কিশোর ছিনতাইকারী, বিদেশের মাটিতে এক টুকরো বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা পরিশ্রমী প্রবাসী। গল্পগুলো পড়তে পড়তে পাঠক কখনো চলে যাবেন বাংলাদেশের নিরিবিলি এক মফস্বল শহরে। আবার কখনো হেঁটে যাবেন নাইজেরিয়ার বিলাসবহুল হোটেলে। ইথিওপিয়ার রঙিন সি-বিচে। সিঙ্গাপুরের এমআরটি স্টেশনে। আর অস্ট্রেলিয়ার নিরিবিলি ছিমছাম ইউনিভার্সিটি চত্বরে। সহৃদয় পাঠকের অন্তরে অনেকদিন বেঁচে থাকবে বহু সংস্কৃতি আর জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময় নাইজেরিয়ার ‘আফ্রো এশিয়া গার্ডেন’ কিংবা সিডনির ‘মেরিটন সার্ভিসেস এপার্টমেন্টে কিছু বাংলাদেশির পহেলা বৈশাখ উদযাপনের স্মৃতি। সুদূর চেক প্রজাতন্ত্রের মেয়েটির সাথে বাংলাদেশি নারীর সান্তোসা ঘুরে দেখা আর উপহার কেনাবিষয়ক কথোপকথনের ভেতরে দু’টি অঞ্চলের সংস্কৃতির ভিন্নতা আর হৃদ্যতা ফুটে ওঠে। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা মনা তাদের মধ্যবয়সি ‘গৃহ সহায়তাকারী’ নারীর নাম জানে না। সে ভদ্রমহিলা লোকের মুখে ‘তুলসির মা’ পরিচয়ে বাকি জীবন বেঁচে থাকবে! আবার বাংলাদেশের মফস্বল শহরের একটি বিয়েকে ঘিরে মধ্যবিত্ত পরিবারের আবেগ, অনুভূতি, নীড়ে ফেরার প্রশান্তি ধরা দেয় লেখকের কলমে।