"নৈঃশব্দ্যের আর্তনাদ" ত্রিরত্ন বা তিন কন্যার সৃষ্ট রহস্যময় গল্পের এক অনবদ্য সৃজন। একজন নাজনীন নাহার। ভাব, বোধ, উপলব্ধির সমৃদ্ধতায় যার লেখা বিদগ্ধ জীবন বোধের এক জীবন্ত পাঠশালা।পাঠক হৃদয়কে চিন্তাশীলতায় তোলপাড় করা এক মোহমুগ্ধতা যার লেখায় বিদ্যমান। তানিজ ফাতেমা নীলা। যাকে এককথায় বলা যায় গল্পের জাদুকর। যার গল্পের ঘ্রাণে পাঠক মন বুঁদ হয়ে থাকে অনায়াসে সেই গল্প গভীরতার বোধের ব্যাকরণে। প্রিয়াংকা বিশ্বাস। যিনি এক মোহময়ী শব্দের জাদুকর। যার অনুভব শব্দের অলঙ্করণে মুদ্রিত করে গল্পের শরীরে সৃষ্টি করে এক মোহময় আবর্ত।যাতে ভালোলাগার এক বাধ্যগত অনুরণনে বিমুগ্ধ থাকে পাঠক হৃদয়। এমনই তিনজন শক্তিশালী কলম যোদ্ধার মস্তিষ্কজাত ফসল এবার পাবেন এক মলাটে। যেখানে প্রতিটি গল্পে রহস্যময়তার জীবন্ত আবহে ঘুরপাক খাবে পাঠক। কিছু গল্প সত্য ঘটনার আলোকে নির্মিত।কিছু এক নিগূঢ় উপলব্ধির আস্ফালন। যা রহস্য গল্পের পিপাসু পাঠককে শিহরিত করবে। কিছু অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি, কিছু অশরীরী আত্মার অস্তিত্ব, কিছু প্রেতাত্মার বিচরণ, কিছু সৃষ্টির অনিষ্ট ও কিছু মানুষের মানসিক গঠনের রহস্যময় আবর্তকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে।তৈরি হয়েছে নৈঃশব্দ্যের আর্তনাদের গা শিউরে উঠা জীবন্ত গল্পগুলো। গতানুগতিক গল্পের ভিরে সম্পুর্ণ ব্যতিক্রমী আয়োজন নৈঃশব্দ্যের আর্তনাদ। যা পাঠকদের একঘেয়েমি দূর করে রহস্যময়তার এক অন্য ভুবনে নিয়ে যাবে অনায়াসে। আসুন বিশ্ব নারী দিবসে দাম্পত্যের জটিলতা ও নারীবাদী রূপকথার আবর্ত থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেরিয়ে গিয়ে ঘুরে আসি নৈঃশব্দ্যের আর্তনাদে। আস্বাদন করি জীবন বোধর এক ভিন্ন স্বাদ। আর সেই স্বাদের ভিন্নতা নিয়েই হাজির হচ্ছে আপনাদের জন্য নৈঃশব্দ্যের আর্তনাদ।
পিতা মোঃ বিল্লাল হোসেন ও মাতা বিলকিছ বেগমের ঘরে ৫ই আগস্ট ২০০০ সালে জন্মগ্রহন করেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে নাজনীন তৃতীয়। নেয়ামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী, বালুঘাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পাশ করে বর্তমানে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এ উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত। বাবা একজন সঙ্গীতশিল্পী। তাঁরই অনুপ্রেরণায় লেখালেখির হাতেখড়ি। ছোটবেলা থেকেই লিখছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও লিটলম্যাগে। প্রিয় শখ বইপড়া, গাছ লাগানো, লেখালেখি ও গান শোনা। ভবিষ্যতে একজন আদর্শবান ডাক্তার হয়ে অসুস্থ মানুষের সেবা করাই তাঁর জীবনের লক্ষ্য।