জাবেদ এগোতে লাগল সুফিয়াকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট হাউসের উত্তরে পিচকালো জনবিরল পথটার ওপর দিয়ে খটখট করে জুতো ফেলে। কথা হচ্ছে তাদের মাঝে মান-অভিমানের। ক্যামেরাটা ঝুলছে জাবেদের কাঁধে। দুজনার চোখ কালো করে দিয়েছে দু'জোড়া গগলস। সর্বাঙ্গের ভুরভুরে গন্ধ চলার পথটাকে সজাগ করে তুলছে যেন। ট্যাক্সিটা গোঁ গোঁ করে এক কোঁকড়ানো আওয়াজ তুলে ব্রেক কষে থেমে গেল তাদের পেছনে। হুলমাখা ঝাঁঝালো কথা কটি বেরিয়ে এল ভেতর থেকে, হোয়াট ননসেন্স। এসকারশনে বেরিয়েছে বাপু তা পথে এত আপনভোলা হয়ে যাও কেন। দিগ্বিদিকি লক্ষ করে চলো, বুঝেছ। এক্সকিউজ মি, স্যার। উত্তর এল শ্লেষভরা দুটো কণ্ঠের, মানে এ জ্যান্টেলম্যান মাস্ট নট আটার আনজ্যান্টেল ওয়াউম, ভদ্রতাটুকু রক্ষার্থে হর্ন বাজালেই হতো। রাস্তা কারও একার না তো, সুফিয়াও হাত দুটো বাঁকিয়ে ক্ষিপ্রতার সাথে বলে গেল কথা কয়টি। কেওয়ার খুলে বেরিয়ে এল ভদ্রলোক। মানে কুঠারের ঘা পড়ল যেন। টাকপড়া মাথাটায় চার চারবার হাত চালিয়ে নিজের মেজাজকে চাবুক মেরে চাঙিয়ে তুলবার চেষ্টা করল সে। মাথা নুইয়ে থাকল সে কিছুক্ষণ। সারা মুখে ভেসে উঠল তার লাল রক্ত আর শিরা। মন অনেক কিছু করতে চাইছে তার। হয় গুঁড়ো নয় থেঁতলানো, নয় উপযুক্ত জবাব।