ডিভোর্স শুধু একটা মেয়ের সংসারই ভাঙে না, একটা মেয়ের সম্মানও কেড়ে নেয়। মেয়েটাতো পরিস্থিতির শিকার, হয়তো চোখের পানি দিয়ে নিজের অপমান সহ্য করে নিতে পারে, কিন্তু মেয়ের জন্য মেয়ের পরিবারকেও এই সমাজ অপমান করে। এই সমাজে ডিভোর্স হোক বা রেপ, একটা ছেলেকে কখনোই দোষী ভাবে না। কারণ তাদের চোখে ছেলে হলো সোনার মতো, সোনা বাঁকা হলেও দামী!
মেয়েদের বুঝতে শিখুন। অনেক ছেলেরাই বলে যে, মেয়েরা ছেলেদের মন বোঝে না, এমন চিšত্মাধারা যাদের মনে আছে, নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলান। ছেলেরা কাউকে ভালোবাসলেই চট করে বলে দেয়, পুরো পৃথিবীকে জানিয়ে দেয়, কিন্তু একটি মেয়ের ভালোবাসা সম্পূর্ণ আলাদা, তারা সহজে কাউকে ভালোবাসতে চায় না। ভালোবাসলেও নিজের ভিতরে পুষে রাখে, মুখে প্রকাশ করে না। একবার যদি কোনো মেয়ে কোনো ছেলেকে ভালোবাসে, তাহলে সে আপ্রাণ চেষ্টা করে সেই ভালোবাসাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্যে। মেয়েদের মন খুব নরম, সেই মন কারও প্রেমে পড়লে, আরও নরম হয়ে যায়, কিন্তু অনেক ছেলেরাই তা দেখেও বোঝে না, ছেলেরা শুধু মেয়েদের বাহিরের রাগ, অভিমান, ঝগড়াটাই শুধু দেখে, কিন্তু সেই রাগ, অভিমান আর ঝগড়ার আঁড়ালেই যে লুকিয়ে আছে গভীর ভালোবাসা।
একটি মেয়ের মন এটাই চায় যে, কেউ তাকে এতোটা ভালোবাসুক, যতটা ভালোবাসা সে কাউকে দেয়নি আগে। আরে ভাই! আপনার ভালোবাসার মানুষ আপনার সাথেই তো রাগ দেখাবে, নাকি অন্য কারো সাথে দেখাবে? মেয়েদের নিয়ে অনেক কথা বলে ফেললাম, কিন্তু সব মেয়ে/ছেলেরা একরকম নয় এবং তাদের ভালোবাসার প্রকাশটাও এক নয়। এই পৃথিবীতে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন তাদের ভালোবাসা, ভিন্ন সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কেউ ভালোবাসে কাউকে কষ্ট দিয়ে, কেউ ভালোবাসে নিজে কেঁদে, আবার কেউ বা ভালোবাসে ঝগড়া করে। ভালোবাসা ভিন্ন হতে পারে, ভালোবাসার মানুষগুলো ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সকল ভালোবাসার মানুষের লড়্গ্য একটাই থাকে, ‘যাকে ভালোবাসি, মন প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসি, ভালোবাসবো, বেসে যাবো জনম জনম ধরে’।
একটি মেয়েকে জন্মের পর থেকেই ত্যাগ করতে হয়। ত্যাগ করতে হয় তার ইচ্ছেগুলো, মনের অনুভূতিগুলো। ত্যাগ করতে হয় প্রেমিককে, পিতার ঘর ছাড়তে হয়, বিয়ের পর ত্যাগ করতে হয় তার নাম, সšত্মান লাভের পর ত্যাগ করতে হয় তার রাতের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া। সšত্মান বড় হয়ে খারাপ আচরণ করলে, ত্যাগ করতে হয় সšত্মানকে নিয়ে তার সম¯ত্ম আশা-ভরসাকে। আবার ছেলের বউ যদি খারাপ হয়,তাহলে ত্যাগ করতে হয় তার আপন স্বামীর ঘর, মেয়েটির শেষ জীবনের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম, আর একমাত্র সঙ্গী বলতে থাকে চোখের জল। পরিশেষে একটা কথাই বলবো, মেয়েরা স্রষ্টার অপরূপ সৃষ্টি। সে হয় কারও মেয়ে, বোন, স্ত্রী অথবা মা। মেয়েদের মন খুব নরম, সেই মন শুধু একটা জিনিসই চায়, সেটি হলো, প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে অফুরšত্ম ভালোবাসা। বাবা-মা, ভাই, স্বামী, সšত্মান, ছেলের বউ, শ্বশুর-শাশুড়ী সহ সম¯ত্ম আপনজনদের কাছ থেকে ভালোবাসা চায় একটি মেয়ের মন। মেয়েদের সেই নরম মনে কখনও আঘাত করবেন না, কখনোই কষ্ট দিবেন না। শুধু তাকে আপন করে ভালোবাসা দিয়ে দেখুন, সম¯ত্ম পৃথিবীর সাথে লড়াই করবে শুধু আপনার জন্য। সেই আপনি হতে পারেন তার প্রেমিক, তার স্বামী, কিংবা তার ছেলে। মেয়েদের বুঝতে শিখুন, তাদের সাথে কখনোই খারাপ ব্যবহার করবেন না।
জন্ম ২৬ জানুয়ারী পুরান ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। কৈশোরে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া ‘আলোকিত মানুষ’ হওয়ার স্বপ্ন। তাও যদি সে স্বপ্ন হয় কোনো তরুণের? সমাজে পেটের তাগিতে নয়, বাঁচতে চায় মানুষের ভালোবাসায়। এমন এক অস্থির সমাজে সবাই সে স্বপ্নের রঙ ছড়াতে পারে? পারে না। কিন্তু সে স্বপ্নের রঙ ছড়ানোর দুর্মর ইচ্ছে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তরুণ কবি মিজানুর রহমান হৃদয়। তিনি একাধারে কবি, লেখক, ডিজিটাল মার্কেটার। অল্প বয়সে একের মধ্যে অনেক কিছু। সখ তার বিশ্ব ঘুরে দেখা, আর অসহায় মানুষকে ভালোবেসে কিছু করা। লেখালেখি তার প্রাণ খুলে নিয়েছেন। এরপর আর কলম থামেনি। আর তাতে অনুপ্রেরণার জল ঢেলেছেন প্রিয় বন্ধুরা এবং একজন বিশেষ মানুষ। ভালোবাসার কবিতা লিখলেও তরম্নণ এই কবি সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায়, অবিচারের বিরম্নদ্ধে তুমুল প্রতিবাদী এবং লেখেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। তার লেখায় ছড়িয়ে আছে, দ্রোহ আর মানুষের প্রতি গভীর মমত্ব। ‘কী ভুল ছিলো আমার’ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ (২০১৮)। ‘তোমার অপেক্ষায়’ উপন্যাস (২০২০)। ‘নিঃস্বার্থ অপেক্ষা’ গল্পের বই (২০২১)। ‘দ্বিতীয় বাসর’ উপন্যাস (২০২২)।