অনেক কষ্ট করে জীবন বুকটা ফুলিয়ে গ্যাস্ট্রিক ব্যথা- কোমর দুলিয়ে তালি দেওয়া অমর মুচির সেলাই বাইপাস জুতো নিয়ে পুরোনো চিপা, ঢোলা পোশাকে অভ্যর্থনা রুমে সকাল দশটা হতে বসে আছে। পরিচয় পেয়ে রিসিভশন রুমে গাঢ় মেককাপে বসা তরুণী নাম, পদবি, কারণ লিখে হাতে স্লিপ ধরিয়ে দেন। জীবন স্লিপ টা নিয়ে পরম যত্নে আজ সততা পরীক্ষা দিতে কোমর বেঁধে নেমে বেশ আমোদিত। বুকটা ধক-ধক করছে। এসি-র মধ্যেও কপালে চিকন ঘাম। এতো বড়ো সৎ অফিসার! নাম শুনেছে, সরাসরি দেখা হয়নি। বাহ্ আজ সততার পরীক্ষা হবে! বিএসআর, আইন, সংবিধান, মানবাধিকার ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সব জানা। তবে জীবনের মনে কেমন খটকা হলো? একি! যারা চরম দুর্নীতিবাজ, মাগীবাজ, চরম ঘুষখোর, যাদের অনেক দণ্ড, তারাই এখানে এসে কাজ করিয়ে চলে যাচ্ছে? অথচ আমার ডাক পড়ছে না। মনে মনে জীবন ভাবছে- স্যার মনে হয় ওদের বকা-সকা দিয়ে দুষ্ট বলে বের করে দিচ্ছে। ধ্যাৎ! একী ভাবছি? স্যারের মতো মানুষ হয় না। এমন দেবদূত পৃথিবীতে আসতে চান না, ঈশ্বরের কাছে ঝগড়াফ্যাসাদ করেই শেষ-মেশ আমাদের মতো সৎ জীবনদের জন্যেই আসেন। আহা! কী সুন্দর, শরীরে চম্পা ফুলের ঘ্রাণ, হাসিতে দাঁতে বিজলি মারে। ঘ্রাণ-বিজলির কারণে কতো কী হয়েছে! পাপ হবে! আমার মনটা আসলেই ছোটো? কী খারাপ চিন্তা মনে উঁকি দেয়! এইতো সেদিন জেলা বসের রুমে ঢুকে কী যেনো দেখেছি! ছি! লজ্বা আসে বলবো না। সপ্তাহ শেষ হতেই বস বলেন, তুমি তো মাইয়া না, পোন্দাপুন্দি করবো ইডিয়ট! কোথাকার। ড্রেস আপ নেই, কথা জানে না, পার্টি ডিল জানে না, মন বোঝ না, তোমারে বাল ফালাইতে রাখুম। ছি! এতো নষ্ট কথা! শুনতে কেমন জানি গা ঘিন-ঘিন করে।