আসমান কাঁধ ঘুরিয়ে অবনিতার দিকে তাকাতেই বিজলীর মতো চমকে উঠলো। তারপাশে ভয়ংকর এক সুন্দর নারী, যার চিকন ঠোঁট দু’টো সদ্য কাটা তরমুজের মত টকটকে লাল। সেই ভয়ংকর সুন্দরী নারী যে কি না এতক্ষণ ধরে তার পাশাপাশি হাঁটছিলো, এটা ভাবতেই আসমান আরো একবার চমকে উঠলো। আসমান মনে মনে কল্পনা করে নিলো, নীলিমা এমনি একদিন ভরা পূর্নিমার রাতে তার পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে হিমশীতল গলায় জিঞ্জেস করেছিলো, ‘আজ আমায় কেমন লাগছে আসমান? আমি আসলে তোমার কাছে কি?’ আসমান তখন নীলিমাকে সাথে সাথে বুকের গভীরে টেনে নিয়ে ওর পিঠের উপর আদুরে হাত বুলাতে বুলাতে বললো, ‘এবার একটু আকাশের দিকে তাকাও।’ আসমানের খুব ইচ্ছে করছিলো, অবনিতাকেও আজ এমন করে জড়িয়ে ধরে একবার আকাশের দিকে তাকাতে। কিন্তু পরক্ষণেই যখন মনে পড়লো, নীলিমা আসমানের কাছে যা, তা শুধু একটাই হয়। আসমান হাঁটতে গিয়ে পায়ে পা বেঁধে রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়লো। অবনিতা দ্রুত এগিয়ে এসে বললো, ‘কী হলো? আচমকা হোঁচট খেলেন যে? অনেকক্ষণ ধরে আপনাকে বলার চেষ্টা করছি, দূরের একটা টঙের দোকান দেখা যাচ্ছে । খুব সম্ভবত খোলা । সেখানে গিয়ে বসবেন কি না ! কিন্তু আপনি তো আমার কথার কোনো উত্তরই দিচ্ছিলেন না। হঠাৎ কী হলো আপনার? পড়ে গেলেন কী করে?’ আসমান অবনিতার বাড়িয়ে দেওয়া নরম হাতটা ধরে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে কাঁপা কাঁপা গলায় একবার ঢোক গিলে বললো, ‘হ্যা, চলুন। দেখি, ওখানে গিয়ে একটু আগুনগরম চা পাওয়া যায় কি না । আচ্ছা, আপনার নামটা যেন কী?’