ভালোবাসা আসলে কী? নিজেকে ভালো রাখার একটা প্রচণ্ড ইচ্ছে? না কাছের মানুষটিকে সুখি করার অদম্য জেদ? নাকি ভালোবাসা একটি চির আধুনিক বোধ, যা শৈশব কৈশোরের সঙ্গে বেড়ে উঠে হৃদপিণ্ডটাকে অন্তহীন উদার করে দেয়, কাছের পৃথিবীটাকে তীব্র সুখি করতে উস্কানি দেয়? আর প্রেম! প্রেম কী? একটা চাকরি পাওয়ার মতো সুখ? একটা সুখবর আসার মতো উচ্ছাস? না প্রথম সূর্যকিরণের মতো ভালোবাসার আভাস নিয়ে আসে প্রেম? নাকি প্রেম বলতে চায় তুমি নিজেকে সুখি করো, খুব সুখি করো? আর বিচ্ছেদ! বিচ্ছেদইবা কী? কষ্টের আতুরঘর? না মৃত্যুকে খুব কাছে দেখার মতো ক্ষতবিক্ষত অনুভূতি? নাকি বিচ্ছেদ নিজেই নিজের সাহস, নিজেই নিজের সান্ত্বনা? আর দুঃখ? কেন আসে দুঃখ? কী চায় হৃদয়ের কাছে? কী পেলেই বা চলে যায়? কী পেলেই বা ভালোবাসা সবুজ থাকে? প্রেম ভালো থাকে? দাবিদাওয়া কী? বিদ্রোহই বা কী? অথবা রাজনীতি? সবই কি ব্যক্তিকেন্দ্রিক? সবটাই নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা? নাকি পরিবেশ সুখি হলে নিজেও সুখি হওয়া যায় এরকম কিছু বিশ্বাস? আমার চোখে ‘বিষণ্ণ রোদ্দুর’ মূলত এই সবকিছুর প্রতিফলন। ‘বিষণ্ণ রোদ্দুর’ কোনও কবিতার বই নয়। এই গ্রন্থে আমি যা লিখেছি তাকে কবিতা বলি না। আমি তাকে বলি বোধ। এই বোধের উস্কানি পেয়ে কেউ একজনও যদি তার ভালোবাসাকে কাছে ফিরিয়ে আনতে পারে, কেউ যদি রুখে দাঁড়িয়ে বিদ্রোহী হতে পারে, কেউ একটি মানুষও যদি তার প্রাপ্য অধিকার আদায় করে নিতে পারে, তবেই আমার এই প্রয়াস সফল হবে।