অকপটে জীবনের গল্প বলেন রাশিদা সুলতানা। কী লেখা যাবে আর কী লেখা যাবে না, এ-সংক্রান্ত অলিখিত বিধান, নিয়ম-শৃঙ্খলা তিনি অনায়াসে ভেঙে ফেলেন। তাঁর আছে একটা অনুপম নৈর্ব্যক্তিকতা, যা তাঁকে হিম্মত জোগায় নানা স্তরের মানুষের জীবনে অবাধ পদচারণায়।br ‘শূন্যমার্গে’ গতানুগতিক উপন্যাসের জগতে চমক-জাগানিয়া। কাহিনি একবার শেষ হয়ে আবার পেয়েছে জীবন। প্রধান চরিত্র দুজন নারী, যাদের জীবন একটি পুরুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। নিষ্ঠুর, মর্মন্তুদ পৃথিবীর ক্যানভাসে রাশিদা এঁকেছেন সমসাময়িক কালের প্রেম ও দ্রোহের ইতিবৃত্ত।br বিশেষত নারী-চরিত্র-দুটির অঙ্কনে লেখকের মুন্সিয়ানা ঈর্ষণীয়। শিউলি এবং নাজিয়া, দুজনেই যদিও গল্পের অদ্ভুত নায়ক, রামিমের অনুরক্তা এবং তার উপেক্ষার নির্মম শিকার, তারা একেবারেই আলাদা চরিত্র, সচরাচরের বাইরের দুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং একই সঙ্গে ভীষণ শক্তিশালী এবং অত্যন্ত ভঙ্গুর মানুষ।br উপন্যাসটি এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলা যায় লেখকের গদ্যের গুণে, কিন্তু দাবি করে পাঠকের গভীর অভিনিবেশ। অকপটে জীবনের গল্প বলেন রাশিদা সুলতানা। কী লেখা যাবে আর কী লেখা যাবে না, এ-সংক্রান্ত অলিখিত বিধান, নিয়ম-শৃঙ্খলা তিনি অনায়াসে ভেঙে ফেলেন। তাঁর আছে একটা অনুপম নৈর্ব্যক্তিকতা, যা তাঁকে হিম্মত জোগায় নানা স্তরের মানুষের জীবনে অবাধ পদচারণায়।br ‘শূন্যমার্গে’ গতানুগতিক উপন্যাসের জগতে চমক-জাগানিয়া। কাহিনি একবার শেষ হয়ে আবার পেয়েছে জীবন। প্রধান চরিত্র দুজন নারী, যাদের জীবন একটি পুরুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। নিষ্ঠুর, মর্মন্তুদ পৃথিবীর ক্যানভাসে রাশিদা এঁকেছেন সমসাময়িক কালের প্রেম ও দ্রোহের ইতিবৃত্ত।br বিশেষত নারী-চরিত্র-দুটির অঙ্কনে লেখকের মুন্সিয়ানা ঈর্ষণীয়। শিউলি এবং নাজিয়া, দুজনেই যদিও গল্পের অদ্ভুত নায়ক, রামিমের অনুরক্তা এবং তার উপেক্ষার নির্মম শিকার, তারা একেবারেই আলাদা চরিত্র, সচরাচরের বাইরের দুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং একই সঙ্গে ভীষণ শক্তিশালী এবং অত্যন্ত ভঙ্গুর মানুষ।br উপন্যাসটি এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলা যায় লেখকের গদ্যের গুণে, কিন্তু দাবি করে পাঠকের গভীর অভিনিবেশ।
রাশিদা সুলতানার জন্ম ১৯৭৩ সালে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবার কর্মসূত্রে আশৈশব তিনি বড় হন ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন মতিঝিল আইডিয়াল হাই স্কুল, ভিকারুননিসা নূন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের অর্থনীতি বিভাগ এবং জাপানের রিৎসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। তাঁর প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ চারটি : অপনা মাসে হরিণা বৈরী (২০০৪), আঁধি (২০০৭), পরালালনীল (২০০৯), এবং পাখসাট (২০১২)। কাব্যগ্রন্থ একটি : জীবনযাপন দখিন হাওয়া (২০০৮)। উপন্যাস একটি : সাদা বিড়ালেরা (২০১৩)। রাশিদা সুলতানা বর্তমানে জাতিসংঘের দারফুর শান্তি মিশনে সুদানে কর্মরত।