যে রয়ে যায়, সে রয়েই যায়। সহস্র আগুনের শীত পেরিয়ে লোমের কূপে শিহরণ হয়ে সরব থাকে স্মৃতির অমোঘ আয়নায়। এড়াতে চাইলে আরো বেশি স্পষ্ট হয় ধ্রুবকের অনুরূপ — ধাওয়া করে , শিকার করে। হঠাৎ পাওয়া দিনলিপির ভাষায় সুপ্ত থাকা গুপ্ত ঝড় জীবনের একান্নবর্তী যাপনে দীর্ঘদেহী শ্বাস হয়ে ওঠার আশ্চর্য এক প্রকল্প এই উপন্যাস। বহুবিধ রসদ নিংড়ে গ্রন্থের ‘প্রোটাগনিস্ট’ চিত্রের বিপরীত এক জীবন পায় যেখানে মুগ্ধতা, প্রতীক্ষা, প্রেম, পাপ এবং শাপের মতোন দণ্ডগুলো যোজিত অবয়ব প্রাপ্ত হয়ে একটি নির্দিষ্ট ঋতু হয়ে যায়, যার মধ্যে লিপিবদ্ধ হয় উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহ। লাবিবা সালাত, তার ভাষার গাঁথুনিতে দেখাতে চেয়েছেন মুগ্ধতার অভিশাপগ্রস্ত জীবন ব্যাকরণের বৈরিতা, আঁকতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাসের একান্নবর্তী আচরণ, অবচেতনতায় এঁকে ফেলেছেন নিদারুণ এক জার্নি যার অনেকাংশই মূলত সাইকোলজিক্যাল। ‘একান্নবর্তী দীর্ঘশ্বাস’ লাবিবা সালাতের অস্থিরতার প্রতিরূপ, বিবিধ জনরাভুক্ত এই চিহ্নের শ্রেণি নির্বাচনের মতোই কনফিউজিং এর কাহিনি, যার শেষপ্রান্তে শ্বাসের বিরুদ্ধে শ্বাস, কৌতূহলের বিরুদ্ধে কৌতূহল, তীরবিদ্ধ নিরন্তর এক প্রশ্ন ‘তারপর! তারপর কী হলো? হিমাদ্রী চৌধুরী ঢাকা, বাংলাদেশ।