দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট পারফেক্ট জীবন যাকে বলে, অ্যালিসিয়া বেরেনসনের জীবন ছিল তেমন। নিজে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী আর বিয়ে করেছে এক নামজাদা ফ্যাশন ফটোগ্রাফারকে। প্রকাণ্ড যে বাড়িতে তারা থাকে সেটার বিশাল জানালা দিয়ে লন্ডনের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলো দেখা যায়। একদিন তার স্বামী গ্যাব্রিয়েল ফ্যাশন শ্যুট শেষে দেরি করে বাড়ি ফিরলে, অ্যালিসিয়া তার মাথায় পরপর পাঁচবার গুলি করে তাকে খুন করে। এই খুনের পর থেকে তার মুখ দিয়ে একটি শব্দও বের হয়নি। অ্যালিসিয়ার এই মৌনতা, আর ব্যাখ্যা প্রদানের অনীহা এই দাম্পত্যকলহের জের ধরে ঘটা খুনটাকে অন্য মাত্রা দিল। জনগণের মুখে মুখে অ্যালিসিয়ার কুখ্যাতি রঙের পিঠে রঙ ছড়ালো। তার প্রতিটা পেইন্টিংয়ের দাম হয়ে গেল আকাশছোঁয়া। আর সেই নীরব হয়ে থাকা শিল্পীকে মানুষজন ও মিডিয়ার চোখের আড়ালে লুকিয়ে রাখা হলো গ্রোভ নামের লন্ডনের উত্তরে এক গোপন ফরেনসিক ইউনিটের তত্ত্বাবধানে। থিও ফেবার একজন ক্রিমিনাল সাইকোথেরাপিস্ট, যার বহুদিনের ইচ্ছা অ্যালিসিয়াকে নিয়ে কাজ করার। অ্যালিসিয়ার মুখ খোলানোর অদম্য চেষ্টা আর কেন অ্যালিসিয়া তার স্বামীকে খুন করল? এই একটা প্রশ্নের গোলকধাঁধায় হারিয়ে গেল সে। এই সত্যের উন্মোচন করতে গিয়ে সে নিজেও শেষ হয়ে যাবে না তো? দ্য মেইডেনস এডওয়ার্ড ফস্কা যে একজন খুনি—সে ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই মারিয়ানার। কিন্তু মানুষটার কেশাগ্রও স্পর্শ করার উপায় নেই! কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই ফস্কাকে সবাই ভালোবাসে, পছন্দ করে... ...বিশেষ করে একদল ছাত্রীর একটা গুপ্তসঙ্ঘ, যাদের নাম—দ্য মেইডেনস। মারিয়ানা অ্যান্ড্রোস নিজে কম প্রতিভাবান নয়। অসাধারণ দক্ষ এই গ্রুপ থেরাপিস্টের মনে আগ্রহ জন্মায় দ্য মেইডেনসকে নিয়ে...যখন তাদের একজনকে হত্যা করা হয় কেমব্রিজের ক্যাম্পাসে। নিহত মেয়েটা আবার মারিয়ানার ভাগনি, জোয়ির বান্ধবীও ছিল! মারিয়ানা নিজেও ছাত্রী ছিল প্রতিষ্ঠানটির। মোটামুটি নিশ্চিত ও: কেমব্রিজের অদ্ভুত সুন্দর গম্বুজ ও বলভি... সেই সঙ্গে সুপ্রাচীন সব রীতির আড়ালে লুকিয়ে আছে অশুভ কিছু। আরও নিশ্চিত সে: নিখুঁত অ্যালিবাই থাকা সত্ত্বেও, খুনি এডওয়ার্ড ফস্কাই। কিন্তু নিজের ছাত্রীকে খুন কেন করবে এডওয়ার্ড? কেন সে বারংবার ফিরে আসছে পার্সেফোনির আচার, দ্য মেইডেন আর বেচারির পাতাললোকে যাত্রার দিকে? আরেকটা লাশ আবিষ্কৃত হলে, মারিয়ানার মোহ যেন মাত্রা ছাড়ালো...এডওয়ার্ডের মুখোশ ওকে উন্মোচন করতে হবেই! কিন্তু মোহটা যে ওর গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি হুমকির মুখে ফেলছে বেচারির ঘনিষ্ঠ সব সম্পর্ককেও। কিন্তু মারিয়ানাও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জান গেলেও পরোয়া নেই... ...কিন্তু খুনিকে সে থামাবেই!
জন্ম সাইপ্রাসে। তার বাবা গ্রিক-সিপ্রিয়টিক আর মা ইংরেজ। তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্যে পড়াশোনা করেছেন আর আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট, লস অ্যাঞ্জেলস থেকে স্ক্রিনরাইটিংয়ে এমএ করেছেন। সাইলেন্ট পেশেন্ট তার লেখা প্রথম উপন্যাস