''অরিগামির গোলকধাঁধায়"বইয়ের মূল ফ্ল্যাপঃ অরিগামির গোলকধাঁধায় গ্রন্থটির গল্পজগৎ সাদাকালো চোখে দেখার, নাকি অন্তর্গত দৃষ্টি দিয়ে স্পর্শ করার? এই ভাবনা আসতে পারে বইটি পড়ার সময়। আঁধার, বিভ্রম, রূপান্তর, বাস্তবতা, পরাবাস্তবতা একত্রিত করে গল্পকার বুনেছেন এসব কাহিনি। বিপরীতমুখী ভাবনা নিয়ে বলে যাওয়া গল্পগুলোর কোথাও আছে সমকালীন সংকট, ব্যক্তির মানসিক টানাপড়েন, প্রেমের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, কোথাও-বা সমান্তরাল মহাবিশ্বে চেনা চরিত্রকে আবিষ্কারের গোপন নির্যাস। চৌদ্দটি গল্পের আলো-ছায়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে চারপাশের চেনা জগৎ। কিন্তু তারই গভীরে যে এত বিষাদ, এত আনন্দ এবং নতুন করে জীবনকে উদযাপনের আয়োজন ছিল সেসবই গল্পকারের সহজ কথাবয়নে উঠে এসেছে। সহজভাবে কাহিনিগুলো এগিয়ে গেলেও তারই মধ্যে চেতনার রং ছড়িয়ে পড়ে। কোথাও দুলে ওঠে রহস্যময়তার সূক্ষ্ম ঝালর। আর এভাবেই মাহরীন ফেরদৌসের গল্প পাঠককে নিয়ে যাবে নতুন এবং অভাবিত এক জগতের ভেতর। বইয়ের ব্যাক ফ্ল্যাপঃ সিমকার্ডের সাথে একটি হত্যার কী সম্পর্ক? গ্রামে হঠাৎ মারা যাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা, এক নারী সবাইকে চিনতে পারলেও তাকে চেনা যাচ্ছে না, এক কামরার ঘর আটকে রেখেছে চারটি মানুষকে, জন্মদিনের উৎসবে ছোট হয়ে যাচ্ছে একজন,বাড়ি থেকে বের হয়ে কেউ সাতবার বন্ধ করছে দরজা, এদিকে এক ম্যাজিশিয়ান আঁকছে কবিতা- তবে কি অদৃশ্য মহামারীতে আক্রান্ত জগৎ অকস্মাৎ বদলে দিচ্ছে সব কিছু? পাঠক কি পারবে 'মাহরীন ফেরদৌস' এর এই বিচিত্র গল্পজগতের অংশ হয়ে উঠতে?
মাহরীন ফেরদৌস, জন্ম ঢাকায়। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসী। লেখাপড়া করেছেন ব্যবসায় শিক্ষা ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি বিষয়ে। সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত আছেন ২০১০ সাল থেকে। কয়েক বছর ‘একুয়া রেজিয়া’ নামের আড়ালে থেকেই প্রকাশ করেছেন গল্প, উপন্যাস। পেয়েছেন পাঠক-প্রিয়তা। ‘অরিগামির গোলকধাঁধায়’ তাঁর পঞ্চম গল্পগ্রন্থ।