মূলত বর্তমানই নির্মাণ করে অনাগত ভবিষ্যতের রুপরেখা। সতেজ মানচিত্রের মুখায়ব বদলে দেয় আমাদেরই পরিচিত সেইসব কুশীলব যাদের হাতেই হয়তো কোন একদিন আমরা নির্দ্বিধায়, অটুট বিশ্বাসে তুলে দিয়েছিলাম আমাদের ভাগ্যের চাবিকাঠি এবং যা সময়ের বিবর্তনে তাদের কাছে হয়ে যায় নিতান্তই খেলার সামগ্রী। বদলে যেতে থাকে আমার চিরপরিচিত আকাশের রং, বাতাসের ঘ্রাণ। এই গল্পের সূচনা হয়েছে কোন এক সালফার বৃষ্টির বিকেলে। সেদিন নিয়তি বা কাকতাল বশত এক তরুণ মিউজিশিয়ানের হাতে এসে পড়ে একটা ম্যানুস্ক্রিপ্ট যা তার সামনে সহসা উপুড় করে দ্যায় বিচিত্র এক সময়ের গল্প যখন সদ্য একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত হওয়া একটা দেশ পুনরায় আটকে পড়ার পাঁয়তারা করছে সামরিক পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা এক ম্যানিকুইন রাষ্ট্রব্যবস্থার অন্তহীন চক্রে। যখন সর্বসাধারণের মৌলিক অধিকারের সাথে সাথে হারিয়ে যেতে শুরু করেছে শিল্প-সাহিত্যের সকল প্রকার মাধ্যম। দেশ-সমাজের কাছে শিল্পীরা হয়ে পড়ছে তুমুল অপ্রয়োজনীয় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য তৈরি করা হচ্ছে অদ্ভুত এক ম্যাট্রিক্স যেখানে তারা বেড়ে উঠবে বোধ-বিচার-বিবেচনাহীন ল্যাবোরেটরী ইঁদুর হয়ে। তরুন মিউজিশিয়ানটি হঠাৎই তখন আবিষ্কার করে যে সে মূলত ম্যানুস্ক্রিপ্টে উল্লেখিত একজন ল্যাবোরেটরি ইঁদুর এবং ম্যানুস্ক্রিপ্টের প্রোটাগোনিষ্ট তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি যেখানে একজন প্রকৃত শিল্পীকে বাধ্য হয়ে নির্ধারণ করে নিতে হয় তার সুনির্দিষ্ট ভূমিকা কারণ দিন-বদলের আভাস সর্বপ্রথম উঁকি দেয় একজন প্রকৃত শিল্পীর অন্তকরণে।