ফেমিনিজম আসলে কি? এবং ফেমিনিজম কেনো এখন একটা গালির রূপ ধারণ করলো? এই প্রশ্নের উত্তরই পাবেন বইয়ে। সাথে আছে ছোট একটা অনুসন্ধান বা রিসার্চ এবং কিছু এক্সক্লুসিভ ইন্টার্ভিউ! ফেমিনিজম নিয়ে আমরা অনেকে অনেক কথা শুনি। সেই শোনা কথা থেকে আর চোখের সামনে গড়পড়তা কিছু উদাহরণ দেখে অনেকে অনেককিছু ভেবে বসে থাকি; কিন্তু ফেমিনিজম আসলে কি এবং আমাদের সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি কি, আমরা সর্বসাধারণ সে জিনিস বুঝিইনা কিংবা বোঝার ভান করি আর যে যার অবস্থান থেকে বিচার করি। রচনার উপসংহারের মত শুরু করলে বলতে হবে, পৃথিবীতে সবকিছুরই দুটো দিক থাকে; ভালো এবং মন্দ। হালকা পেঁচিয়ে কঠিন করে বললে, এ ধরণীর যাহা কিছু দেখি আমরা এখন-তখন সবেরই আছে কিছু না কিছু গড়পড়তা ধরন ও ফাঁকফোকর। যেথায় দিবে ফাল, দেখে নিও তোমার পেছনকার গড়া জাল। থাক গে! এসব ভাবালুতার কথা বাদ দেই। স্পষ্টভাবে বলি। মানুষের মতের মিল হয়, বিরোধ হয়। এই বইও প্রত্যেকটি ব্যক্তির ভালো লাগবেনা। কারো খুব ভালো লাগবে, কারো কম বা বেশি, কেউ বা দাও নিয়ে কোপানোর ইচ্ছাও পোষণ করতে পারে এবং ভালো লাগা, ভালোবাসা, খারাপ বাসা, আলোচনা, সমালোচনা সবই আমি স্বাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি দুই চক্ষু মেলিয়া আশেপাশে উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিন্মবিত্ত সবখানে যা দেখেছি, কয়েক বছর যাবত তাবৎ ঢাকা শহরের বস্তিগুলো ঘুরে-ঘুরে, হাজারখানেক ঘরের ভেতর ও বাহির অবলোকন করে যা উপলব্ধি করেছি তাই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি এই বইয়ে। আমি আশা করবো, আপনি যদি একজন পবিত্র মনের, স্বশিক্ষিত মানুষ হোন, এই বইয়ের সাথে নিজের সংযোগ ঘটাতে পারবেন, যদি এমন একজন মানুষ হোন যার কিনা জানার আগ্রহ প্রচন্ড সে অনেককিছুই জানবেন এবং শেষমেষ যদি সেই দলের যাত্রী হোন যারা কিনা প্রথমেই কিছু খতিয়ে না দেখে প্রশ্নবিদ্ধ করেন তাহলে আপনাকে শুধু একটা কথাই বলবো, দয়া করে ভাববেন কিন্তু সহজ-সরল্ভাবে এবং একদিন আলো খুজে পাবেন। আপনাকে স্বাগতম। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানবেন।
Title
গ’ তে গালি ফ’ তে ফেমিনিস্ট! এবং নারী-পুরুষ-সমাজের কিছু শুদ্ধচিন্তার অভাব
সাল ১৯৯৯। কার্তিক মাসের প্রথম শীতে বরিশালে জন্ম। শৈশব কেটেছে টেকনাফে নাফ নদী আর পাহাড়ের কোলঘেষে আকাশের গাঢ় নীল আর গহীন সবুজে। কখনো মা-বাবার হাত ধরে বার্মিজ মার্কেটে টু মারা গুটিগুটি পায়ে। এলন্টি লন্ডন, ঘড়ি বাজে টান্টিন, এক দুই তিন! সাইকেল, গোল্লাছুট, দেয়াল পেরিয়ে দিঘি, ধুলো মাখা উচ্ছ্বল হাসি, বাবার জোর করে গান শেখাতে নিয়ে যাওয়া, নিজে দাপাদাপি করে নাচতে চলে যাওয়া, শখের বসে আঁকতে বসা এভাবেই কেটে যায় কৈশোর টুপ করে ঢাকার দোহার ও নারায়ণগঞ্জে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে এসে ধরা পরা এই জাদুর শহরে। অট্টালিকার ফাঁকফোকর দিয়ে খুঁজে চলা শৈশব কৈশোরের আকাশ। জীবন যেদিকেই মোড় নিয়ে যাক, ছোট থাকতে বুকশেলফ থেকে যে বই টেনে বের করেছিলো, সেই বই নিয়েই এখন তার ঘর-সংসার-স্বপ্ন-না বলা হাহাকারে জমে ওঠা নীল ডায়েরি। বর্তমানে অধ্যয়নরত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ তে। পাশাপাশি জড়িত আছে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে, কাজ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রজেক্টে ও মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে। আর এই ঝাঁঝি শ্যাওলাই লেখক হিসেবে প্রথম আত্মপরিচয়। স্বপ্ন দেখে ঘুরে বেড়াবে আচলে কলম ঝুলিয়ে হৃদয়কে দিস্তা কাগজ বানিয়ে এই দেশ থেকে সেই দেশ, কখনো ইতালির ভেরোনিকা শহর, পরদিন সন্ধেবেলা কোন যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় কিংবা কোনো শরণার্থী ক্যাম্পে আর গল্প লিখলেন তাদের নিয়ে যাদের নিয়ে কেউ ভাবে না, যাদের কেউ ভালোবাসে না।