গিলগামেশ হলেন সুমেরিয় মহাকাব্যের নায়ক, অনেকটা আমাদের রামচন্দ্র বা অর্জুনের মতন। পৃথিবীর প্রাচীনতম লিখিত উপাদানে পাওয়া গিয়েছে তাঁর কাহিনি। তাঁর দেশের কথা জানতে গেলে আসে ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিসের অববাহিকায় গড়ে ওঠা সুমেরিয়, আক্কাদীয় বা আসিরিয় ইত্যাদি কয়েকটি সাম্রাজ্যের কথা। কারা ছিলেন এদের দেবদেবী ? কী ছিল তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক ? কে কোন বিষয়ের দেবতা ? কে ইনান্না বা কে ইশতার ? সূর্যদেবতার নাম কী ? চন্দ্র দেবতাই বা কে ? কখন কোন ক্ষমতা দখলের জন্য এঁদের মধ্যে লড়াই ? গিলগামেশের জীবনের যাত্রার মধ্য দিয়ে গল্পের মাধ্যমে সমগ্র মেসোপটেমিয়ার মাইথলজির এ এক টাইম ট্রাভেল। সময়ের সাথে সাথে কোন দেবতার উত্থান হল, কারই বা পতন ? কে ছিলেন মার্ডুক, 'অসুর-'ই বা কে ? 'টাওয়ার অব ব্যাবেল' কোথায় ? চার হাজার খৃষ্ট পূর্ব থেকে রোমান যুগ পর্যন্ত এক পৌরাণিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের আখ্যানমালা এই গ্রন্থ। 'হায়রোগ্লিফের দেশে' বইটিতে ঘুরে এসেছিলেন মিশর থেকে। এবার ঘুরে আসার পালা লেখক রজত পালের সাথে গিলগামেশের দেশ মেসোপোটেমিয়া থেকে। গিলগামেশের দেশের কথা’ বইটি গিলগামেশের দেশ প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার ইতিহাসের ওপর আলোকপাত করার এক নতুন প্রচেষ্টা।প্রথম অংশটি প্রাচীন মেসোপটেমিয়াকে বোঝার চেষ্টা করেছে এক অভিনব পন্থায়, শুধু শুকনো ইতিহাসের চর্বিতচর্বনে ব্যস্ত না থেকে গিলগামেশের উপকথাকে ধ্রুবতারার মতো অনুসরণ করে ইতিহাস পুনর্দর্শনের যাত্রা করেছেন লেখক। এ যেন এক মিথোলজিক্যাল থ্রিলার। পড়তে পড়তে শিহরিত হবেন আপনিও।