বৈশ্বিক মহামারি কোভিডের ছোবলে নাস্তানাবুদ সারা বিশ্ব। যখন এর ভয়াবহ রুপ অনুধাবন করছিলাম তখন ‘আমাদের নতুন সময়’ পত্রিকায় ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কে কাজ করি। চীনের একটি প্রদেশ থেকে এই রোগে মানুষের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। প্রতিদিনই শঙ্কা, উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হতে থাকে। পরিস্থিতি কোনোদিকে কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে তার সতর্কতায় প্রতিটি দেশের প্রধান, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সকলের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। সকালের শিফটে মৃত্যু ও আক্রান্তের যে সংখ্যা দিয়ে নিউজ করে যেতাম রাতের শিফটে তা বেড়ে বদলে যেতে থাকে। দ্রুত এই মহামারি ইউরোপ, আমেরিকায়, এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভীষণ ছোঁয়াচে এ রোগের কবল থেকে মুক্ত থাকার জন্য সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক এবং হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহারের বিকল্প নেই বলেই জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধে এক দেশ থেকে অন্যদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল, যোগাযোগ বন্ধ। দেশে দেশে লকডাউন। অর্থনীতির চাকা স্থির, স্থবির বিশ্ব, বিচ্ছিন্ন জনপদ। মনে হলো, এই মহামারি নিয়ে কিছু লিখে যায়। করোনার প্রভাবে সারা বিশ্বকে থামিয়ে দিয়েছে তার কিছুটা আঁচ পাওয়া যাবে। করোনার এই দুঃসময়ে অন্য সব পেশার মতো সাংবাদিকতা পেশায়ও অস্বাভাবিক বিপর্যয় ঘটে। জীবিকার অনিশ্চয়তার পাশাপাশি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়ে। নানান অনিশ্চয়তার মধ্যেও সাংবাদিকরা ডাক্তার-নার্সের মতো জীবন বাজি রেখে সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। অনেকে অসুস্থ হয়েছেন বা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাদের নিয়েই আমার এই লেখা ‘করোনা মহামারি ও মিডিয়া’।