শব্দের মালা গেঁথে মনের আকুতি প্রকাশের ইচ্ছে অনেকের থাকলেও নান্দনিক প্রকাশের সক্ষমতা সবার থাকে না, কারো কারো থাকে। বিধাতার উপহার প্রিয় পুত্র, যা প্রিয় সহকর্মীর পত্নী ফারহানা নাজনীন প্রিয়তি এবং তাঁর পরিবারের জন্য অনতিক্রম্য বেদনা, তা অনায়াসে জীবনের অংশ হিসেবে ধারণ করে সদা হাসিমুখে সকল আয়োজনে তাঁর প্রাণ চাঞ্চল্য দিয়ে অনুষ্ঠানকে করে তোলেন আনন্দ মুখর। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টিশীল সাহিত্য প্রতিভা দৃশ্যমান। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে যে কোনো পোস্টের ভূমিকায় তাঁর মন কেড়ে নেয়া অনু কবিতা বা কবিতাংশ মুগ্ধ করে সবাইকে। অফিসার্স ক্লাব, ঢাকায় তাঁর আবৃত্তি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর প্রাণবন্ত উপস্থিতি আর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে দেয়া তাঁর অনু কবিতা এবং কবিতাংশ দেখে নির্দ্বিধায় তাঁকে একজন সংস্কৃতিবান মানুষ ভাবতেই হয়। সাহিত্যমনা প্রিয়তির কাব্যচর্চা বাংলাদেশের কাব্য জগতে অবদান রাখতে পারবে এ বিশ্বাসে অনেক দিন আগে আমি তাঁকে তাঁর সব কবিতা দিয়ে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করতে উৎসাহিত করি। আমার খুব ভালো লাগছে ‘বিষণ্ণ ভায়োলিন’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ কবি ফারহানা নাজনীন প্রিয়তির বাংলা সাহিত্য জগতে গর্বিত পদচারণার শুভ সূচনা হলো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’ এর কেউ’র মধ্যে থাকবেন তিনি। কবি প্রিয়তির শব্দমালা ‘বিষণ্ণ ভায়োলিন পাঠকের মনের কাব্য ক্ষুধা নিবারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং আগামীতেও আমরা তাঁর কাছ থেকে আরও অনেক মানসম্পন্ন কাব্য কথা পাবো।