পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, ‘এই পৃথিবীতে সবই ধ্বংসশীল।’ [সূরা আর রহমান : ২৬]। শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতায় বর্ণিত আছে, ’জাতস্য হি ধ্রুবো মৃত্যুর্ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ । তস্মাদপরিহার্যেহর্থে ন ত্বং শোচিতুমর্হসি॥’ (গীতা ২/২৭) অর্থাৎ জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু তখন অবশ্যম্ভাবী এবং মৃত্যু যখন হবে জন্মও তখন অবশ্যম্ভাবী। অতএব অপরিহার্য কর্তব্য সম্পাদন করার সময় শোক করা মোটেই উচিত নহে। বাইবেলের উপদেশক ৯:৫, ১০ পদে বর্ণনা করা হয়েছে ‘মৃতেরা কিছুই জানে না’ অর্থাৎ আমরা যখন মারা যাই, তখন আমরা অস্তিত্বহীন হয়ে যাই। গৌতম বুদ্ধ প্রাণী ও মানুষের সম্পর্কে বলেছেন ‘মানুষের আত্মা হলো একটা বাষ্প, মৃত্যুর সাথে সাথে যা অদৃশ্য হয়।’ অর্থাৎ এই পৃথিবী থেকে শিক্ষা ব্যতিত নিয়ে যাওয়ার মত কিছু নেই। তবে মৃত্যুর পূর্বে পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষকে দিয়ে যাওয়ার মত অনেক কিছু আছে। যেমন:সুন্দর আচরণ, সুষ্ঠ ব্যবহার, মহত্ব, বীরত্ব, নীতি-নৈতিকতা,মানবিকতা ইত্যাদি। কিন্তু এই জিনিসগুলোও তৈরি হয় পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষদের কাছ থেকে শিক্ষা পাওয়ার মাধ্যমে। ‘১০১ জীবনের শিক্ষা যা মৃত্যুর পূর্বে প্রত্যেকের শেখা উচিত’ বইয়ে সেই সকল বাধ্যতামূলক জীবন শিক্ষার ব্যাখ্যা ও শেখার উপায় উপস্থাপন করা হয়েছে যা আপনার এবং আপনার আশেপাশের মানুষদের জীবনকে সহজ ও প্রগতিশীল করবে। বৃদ্ধ বয়সে যা হবে আপনার হাতের লাঠি ও মানুষের আপনাকে মনে রাখার শেষ পুঁজি।
Title
১০১ জীবনের শিক্ষা যা মৃত্যুর পূর্বে প্রত্যেকের শেখা উচিত