‘জীবনে সুখ দুঃখের সঙ্গী হিসেবে চাঁদ তুলনাহীন। যখনি ভেবেছিলাম জোছনার সাগরে নির্ঘুম সুখের স্নান করব। কষ্টগুলোকে হাওয়ায় ভাসিয়ে উড়িয়ে দিব। ঠিক তখনই কোন এক অন্ধকার গলি আমার স্বপ্নগুলোকে গিলে নিল। জোছনা ভরা রাতগুলো তখন আমার কাছে বিষাদের হয়ে গেল। যদিও জোছনা রাত নিঃসঙ্গ দুঃখী মানুষের দুঃখ হালকা করার এক মায়াবী মুহূর্ত। কারো কারো কাছে এ যেন এক জাদুর কাঠি। ছুঁয়ে দিয়ে ভালোবাসার পরশে আগলে নেয়। ভালোবাসার মানুষ ছেড়ে গেলেও এই চাঁদটা কখনো ছেড়ে যেতে চায় না। পূর্ণিমার রাতে যখন সে আকাশে থাকে তখন সাথে সাথে চলে। এই চাঁদের এমন ভালোবাসার হাতছানি আমাকে টেনে ঘর থেকে বের করে আনত। জোছনা রাতে আমার ঘুম আসত না। বিছানায় যতক্ষণ থাকতাম ততক্ষন ছটফট করতে থাকতাম। পরিশেষে বেরিয়ে পড়তাম ঘর থেকে। আনন্দের রাশি রাশি মালা গেঁথে কল্পনায় চাঁদের গলায় পড়িয়ে দিতাম! এখনো আমি চাঁদের সাথে আর জোছনার সাথে মিতালী করি। রাতের নির্জনতায় সবাই যখন গভীর ঘুমে ডুবে থাকে তখন একাকী রাস্তার ধারে বসে থাকি। আমি চাঁদের দিকে নিস্ফলক তাকিয়ে থাকি। তবে আগের মতো আর আনন্দের মালা গাঁথা হয় না। মাঝে মাঝে আমি হাঁটি। চাঁদও আমার সাথে সাথে হাঁটে।
কাজী সুলতানুল আরেফিন ১৯৮৪ সালের ১৭ই এপ্রিল ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার আওতাধীন পাঠাননগর ইউনিয়ন এর অন্তর্গত ‘পূর্ব শিলুয়া’ গ্রামের ঐতিহ্য বাহী কাজী বাড়িতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। মা, বাবা সহ দুই ভাই ও এক বোনের সংসারে তিনি বড়। লেখা পড়া সম্পন্ন করেছেন চট্রগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ থেকে। শহরের আধুনিকতা ছেড়ে গ্রামের সবুজ সমারোহে মিশে যাওয়া এই লেখকের মন বার বার ছুটে যায় ফেলে আসা চট্রগ্রামে। তবুও লেখকের মতে গ্রামেই প্রশান্তি। লেখকের বেশীরভাগ লেখা মানুষের জীবন থেকে নেয়া! দেশের ১ম সারির জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হয়। লেখকের মোট প্রকাশিত বই ৫ চাঁদের আলো ও দিন-রাত- উপন্যাস (বইঘর প্রকাশনী)২০১৫ইং আগুনি কমল- রম্য উপন্যাস (বইঘর প্রকাশনী)২০১৬ইং কমল ও পরীর দল- রম্য কিশোর উপন্যাস (দাঁড়িকমা)২০১৮ইং মেপে হাসুন চেপে হাসুন- রম্য গল্প- (সাহিত্যদেশ)২০২০ইং শেষ রাতের ট্রেন- গল্পগ্রন্থ- (দাঁড়িকমা প্রকাশনী)২০২১ইং নীল যন্ত্রণার নিলা- উপন্যাস- (প্রজন্ম প্রকাশনী) ২০২২ইং