যৌথ পরিবারের, পারিবারিক গল্প “সময় ঘড়ি”। যেখানে একজন মা, তার ছয়টি সন্তান কে নিয়ে কষ্ট করে দিন পার করেছেন। বড় সন্তান টি উচ্চ শিক্ষিত হয়েও, নিজের পছন্দে বিয়ে করে, পরিবারের দিকে ফিরেও তাকায়নি, এমনকি ছোট ভাই যখন ভার্সিটি কোচিং করতে যায়, তখন নানা ধরনের অপমান করার ফলে, ছোট্ট ভাইটি (ইমন) ঢাকা শহরে একা, কষ্ট করে মেসে থেকেছে। ঢাকা শহরের খরচ তাকে, ঢাকায় বেশি দিন থাকতে দেয় নি। কিন্তু নিজের প্রচেষ্টায়, আর মেজ ভাইয়ের চেষ্টায়, সে বাড়ীতে বসে পড়েও ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। পরবর্তী জীবনে মেজ ছেলে শিমন, বিয়ে করার পর ও সবাইকে নিয়ে আনন্দে থেকেছে। মায়ের সবচেয়ে বাধ্যগত সন্তান শিমন। ইমনের জীবনে প্রেম এসেছে, কিন্তু সে প্রেমে সাড়া দেয় নি, তার ক্যারিয়ারের জন্য। পরবর্তীতে সে যখন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হয়, তখন আবার সেই প্রেমিকা কে অনেক কষ্ট করে রাজী করে করিয়ে, বিয়ে করে। কারণ তখন সে বুঝেছিল সে ও মেয়েটিকে খুব ভালবাসতো, কিন্ত পরিস্থিতি তখন তাকে প্রেম করার জন্য তৈরী করেনি। বড় ভাই-ভাবী তাদের অবস্থান বদলে যাওয়ার পর, তাদের সাথে সু সম্পর্ক বজায় রাখতে শুরু করেন, এমন কি বড় ভাই তার শালীকেও বিয়ে দিতে চান ইমনের সাথে। কিন্তু ইমন কখনোই তা চায়নি। মমতাময়ী মায়ের ধৈর্য, কষ্ট এবং সবার ভালবাসায় একটি সুখী সচ্ছল পরিবারের রুপ নেয় এই পরিবার। উপন্যাসের নামঃ সময় ঘড়ি, নামের সাথে মিল রেখেই বলা যায়, সময়ের সাথে সাথে সৎ থাকলে, পরিবারের ভালবাসা থাকলে, আর সময় কাজে লাগালে, জীবন কত পরিবর্তন হয়, সুন্দর হয়।