সারসংক্ষেপঃ স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হবার পর হেলেন গ্রেস তার দুই যমজ ছেলে জ্যারেড ও সায়মন এবং একমাত্র মেয়ে ম্যালরিকে নিয়ে আর্থার স্পাইডার উইক এর পুরোনো বাড়িতে বাস করতে আসলেন৷ আর্থার স্পাইডার উইকের মেয়ে লুসিন্ডা উনার আন্ট হন৷ পুরোনো এই বাড়িতে আসার পরপরই নানান অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে লাগলো৷ জ্যারেড সেটা খেয়াল করলেও তার মা এবং ভাইবোন প্রথমে সেটা বিশ্বাস করলেন না৷ ঠিক এই সময়ে জ্যারেড পুরোনো একটা বাক্সো থেকে উদ্ধার করলো আর্থার স্পাইডার উইকের ‘ফিল্ড গাইড’৷ যিনি বহু বছর আগে রহস্যজনক ভাবে হারিয়ে গিয়েছেন এই স্পাইডার উইক স্টেটেরই জঙ্গলে! অদ্ভুত সব কথা লেখা আর্থার স্পাইডার উইকের ফিল্ডগাইডে! ফেইরী, গবলিন, ট্রল, গ্রিফিন সহ নানান অদ্ভুত জীবের ছবিও আছে সেখানে৷ সত্যিই কী আমাদের চেনা এই জগতের পাশাপাশি আরো একটা জগৎ আছে? বাড়ির ভেতরে খুঁজে পাওয়া গুপ্ত ঘরের ভেতরে আরও কিছু অদ্ভুত জিনিসের সন্ধান পেল ওরা তিন ভাইবোন৷ মাঝে ফুটোওয়ালা একটা পাথর আছে যার মধ্য দিয়ে তাঁকালে দেখতে পাওয়া যায় গবলিন, ট্রল বা ফেইরীদের৷ গবলিনদের ধাওয়া খেয়ে বাঁচার চেষ্টায় সায়মন, জ্যারেড আর ম্যালোরি লাফিয়ে পড়ল কালো পানির নদীতে৷ ওরা জানে না সেখানে উৎ পেতে আছে বিশালাকায় ট্রল৷ ওরা শিকারকে টেনে নিয়ে যায় জলের গভীরে... এইসব ভয়ংকর পরিস্থিতিতে রহস্যের জাল খুলতে উপায়অন্ত না দেখে ওরা সেনিটেরিয়ামে গেলো গ্রেট আন্ট লুসিন্ডার কাছে৷ যাকে সেনিটেরিয়ামের কেউ বহুদিন কোন কিছু খেতে দেখেনি! তাহলে গ্রেট আন্ট লুসিন্ডা বেঁচে আছেন কি করে? কি খেয়ে? সব ঘটনা জট পাকিয়ে যাচ্ছে৷ বাচ্চারা একটা রহস্যের সমাধানের দ্বারপ্রান্তে আসতে না আসতেই অন্য আরেক জটিল রহস্যের উদ্ভব হয়৷ অথচ তাদের মা হেলেন গ্রেস এসবের কোন কিছুই বিশ্বাস করছেন না৷ গবলিন, ট্রল, ফেইরী, গ্রিফিন, ডোয়ার্ফদের এক অদ্ভুত জগৎ থেকে চলুন ঘুরে আসি৷ অসাধারণ এক ফ্যান্টাসি এডভ্যাঞ্চারে চলুন সামিল হই জ্যারাড, ম্যালোরি এবং সায়মনের সাথে....।