যোজনগন্ধার দিনটা সাধারণভাবে শুরু হলেও হঠাৎ করেই গতিপথ পালটে গেল পত্রিকায় ছাপা একটা ছোট খবরে। একটা মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাচীন ঐ বৌদ্ধ মূর্তির পাশে পাওয়া গেছে একটা লাশ। নিহত ব্যক্তি আর কেউ না, নৃশংস সন্ত্রাসী ডন ছেত্রীর ছেলে। প্রাচীন ভাষা ও লিপি বিশেষজ্ঞ যোজনগন্ধা তাৎক্ষণিক ছুটে যায় সেখানে। এদিকে যোজনগন্ধা ক্যান্সারের সাথে লড়ছে, পরিস্থিতি সুবিধার না। তবুও কৌতূহল বলে কথা। সেই প্রাচীন বৌদ্ধমুর্তি অবলোকিতেশ্বরের গায়ে সিদ্ধম ভাষায় লেখাটির পাঠোদ্ধার করাতেই যেন তার জীবনের সফলতা। তবে চাইলেই কী সব সহজে ঘটে? তাহলে আর গল্প কী করে হবে? প্রেক্ষাপটে হাজির নিষ্ঠুর ছেত্রী, চলে আসলো আরেক ভিলেন মামাজী। সাথে আছে প্রাচীন একটা পুঁথি, যেটার লেখিকা স্বয়ং জ্ঞানডাকিনী গন্ধকালী। এই গন্ধকালীকে খুঁজতে চৌথুপীতে অতীতেও রক্ত বন্যা বয়েছে। কেন? পুঁথিতে লুকিয়ে আছে সব প্রশ্নের উত্তর। অনিচ্ছাকৃতভাবে সঙ্গী হিসেবে হাফি হাবিলদারকে সাথে নিয়ে শুরু হলো যোজনগন্ধার অদ্ভুত এক অ্যাডভেঞ্চার। প্রাচীন বাংলা, প্রাচীন বাংলা ভাষার লিপি, তখনকার বৌদ্ধতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, সেই সাথে প্রাচীন বাংলার লিপি, ইতিহাস, ভাষা এবং সেইসাথে ‘চর্যাপদ’-কীভাবে হবে এসব রহস্যের সমাধান? বর্তমান সময়ের অন্যতম থ্রিলার লেখক প্রীতম বসুর অত্যাশ্চর্য উপন্যাস চৌথুপীর চর্যাপদ পাঠককে তার নিজের প্রাচীন গৌরবের উজ্জ্বল ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে।